আগামী ১১ অক্টোবর মহা ষষ্ঠী তিথির মধ্য দিয়ে হিন্দু (সনাতন) ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।শরৎতের কাশবন আর শিশির ভেজা ঘাসের ওপর ঝরে পড়া শিউলী ফুলের গন্ধ জানান দিচ্ছে উৎসব সমাগত।জেলার মৃৎ শিল্পীদের সুনিপুন হাতের ছোঁয়ায় যেন প্রতিমায় ফোটে ওঠেছে দৃষ্টিনন্দন মাতৃমূর্তি।সারা দেশের মতো মৌলভীবাজারেও চলছে দিনরাত প্রতিমা তৈরীর কাজ।
এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা।সাথে রয়েছে মন্ডপ তৈরি ও সাজ সজ্জার কাজও।এ বিষয়ে মৃৎশিল্পী আকাশ প্রভু ও সুনিল দাস জানান,দশভুজা দেবীদুর্গা আসছেন পৃথিবীর সকল অন্ধকার দূরিভুত করে পৃথিবীকে আলোকিত করতে।মহা ষষ্ঠী থেকে ঢাক,ঢোল,শঙ্খধ্বনি আর উলুধ্বনি দিয়ে দেবীদুর্গাকে বরণ করে নেওয়ার অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন মাতৃভক্তরা।নিজেদের মনের মতো করে প্রতিমার তৈরি করে নিজেকে সেরা শিল্পী হিসেবে তুলে ধরতে দিন-রাত ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় মৃৎশিল্পীরা।
প্রতি বছরের মতো এবারও ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী ১১ অক্টোবর থেকে শারদীয় দুর্গোৎসবের শুরু হবে।প্রতি বছর আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হলেও করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সারা বিশ্বের মতো বিগত দুবছর ধরে বাংলাদেশে মহামারী আকার ধারণ করায় সরকারিভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে শারদীয় দুর্গোৎসব পালনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
মৌলভীবাজার শহরের সৈয়ারপুর রোডের এক মৃৎশিল্পী সৃজন চন্দ্র দেব বলেন,আমি প্রায় মাস খানেক যাবত প্রতিমা তৈরির কাজ করছি।প্রতিটি প্রতিমার মজুরী ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে থাকি।জেলায় এবার প্রায় হাজারের উপর সার্বজনীন ও ব্যক্তি মন্ডপে পূজার আয়োজন চলছে।করোনা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে পূজার ব্যপ্তি ও সাজ সজ্জার কাজ।প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে প্রতিটি মন্ডপে বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়া হবে বলে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।