বাগেরহটের শরণখোলায় নির্বাচন-পরবর্তী আরো পৃথক দুটি সংঘর্ষে পরাজিত সদস্য প্রার্থীসহ উভয় পক্ষের ৮ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।আহতদের মধ্যে তিন জনকে গুরুতর অবস্থায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পঠানো হয়েছে।মঙ্গলবার ও বুধবার রাতে উপজেলার রায়েন্দা ও ধানসাগর ইউনিয়নে এই দুটি সহিংস ঘটনা ঘটে।একটির মামলায় ইমরান খান (৩২) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ধানসাগর ইউনিয়নের ৩নম্বর নলবুনিয়া ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত মেম্বর হারুন হাওলাদার ও তার কর্মীরা পরাজিত প্রার্থী জাকির হোসেন (৪২) ও তার তিন সমর্থককে হাঁতুড়ি ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছেন।আহত প্রার্থীর ভাই মাসুদ হোসাইন এই অভিযোগ করেছেন।এদের মধ্যে প্রার্থী জাকির হোসেন ও তার সমর্থক আমিনুল খানকে (৩) খুলনা মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে।অন্য দুই সমর্থক সেলিম হাওলাদার (৩৭) ও ছিদ্দিক হাওলাদার (৫৫) শরণখোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এঘটনায় মাসুদ হোসাইন বাদী হয়ে মেম্বর হারুনসহ ১০জনকে আসামী করে বৃহস্পতিবার সকালে শরণখোলা থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন।এব্যাপারে মেম্বর হারুন হাওলাদার জানান,জাকিরের লোকেরা তার কর্মী নান্না হাওলাদার (৫৫),আলী আহমেদ (২৪) ও মুসা শাহ (২২) নামের তিন জনকে পিটিয়ে আহত করেছে।তাদেরকে পার্শ্ববর্তী মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।তিনিও শরণখোলা থানায় অভিযোগ করেছেন।
অপরদিকে,রায়েন্দা ইউনিয়নের ৮নম্বর লাকুড়তলা ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী মোঃ হেলাল তালুকদারের অভিযোগে জানা যায়, নির্বাচিত মেম্বর শাহজাহার বাদল জমাদ্দারের কর্মীরা পিটিয়ে তার কর্মী জাফর মীরের (৪০) দুই পা ও বাম হাত ভেঙে দিয়েছে।প্লাস দিয়ে টেনে ডান পায়ের বুড়ো আঙুলের নখ তুলে দিয়েছে তারা।আহত জাফর মীর খুলনা মেডিক্যালে ভর্তি রয়েছেন।
এছাড়া,বিজয়ীর কর্মীবাহিনীর হুমকিতে তিনি ও তার কর্মীরা নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেন।এঘটনায় আহতের স্ত্রী সাথী বেগম বাদী হয়ে মামলা করেছেন।তবে,মেম্বর শাহজাহান বাদল জমাদ্দার অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে জানান, তার কোনো কর্মী-সমর্থক কাউকে মারেনি।তাদের নিজেদের মধ্যে সংর্ঘষ সৃষ্টি করে অন্যের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সাইদুর রহমান জানান,সহিংস ঘটনায় পক্ষে-বিপক্ষে অভিযোগ পাওয়া গেছে।লাকুড়তলার ঘটনায় আহত জাফর মীরের স্ত্রী বাদী হয়ে ৬জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন।ইমরান নামে এক আসামীতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।অন্য ঘটনার অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।