দশ দিনের নবজাতক কন্যা সন্তানকে কোলে নেয়া হলো না আতিক মুন্সীর।বড় দুইটি ছেলে সন্তানের পর অনেক আকাংখার কন্যা সন্তানকে নিজের হাতে স্পর্শ করা,কোলে নিয়ে আদর করে কপালে চুমু খাওয়াও হয়নি তার।এর আগেই সোমবার রাতে পৃথীবির সকল মায়া ছিন্ন করে পরপারে পাড়ি জমায় কোম্পানীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে গ্যাস পাইপ ফেটে অগ্নিকান্ডে আহত আতিকুর রহমান।সোমবার রাত সাড়ে বারোটায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে মৃত্যুবরন করেন তিনি।
আতিকুর রহমান উপজেলার বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের দিঘীরপাড় গ্রামের মৃত আবদুল লতিফ মুন্সীর ছেলে।নিহতের ভাই আবু বক্কর বলেন আমার ভাবী গর্ভবতী ছিলো তার সিজার অপারেশন করার ব্যাপারে কথা বলতে গত ৫ই সেপ্টেম্বর আমার ভাই দেবিদ্বার গিয়েছিল।সেখান থেকে আসার পথে কোম্পানীগঞ্জ বাজারে গ্যাস পাইপ ফেটে সিএনজিতে আগুন লেগে পুড়ে যায়।এসময় আমার ভাইয়ের মুখ হাত পাসহ অনেক অংশ পুড়ে যায়।
এরপর আমরা তাকে প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেলে ও পরে একটি বেসরকারী হাসপাতালে সেখান থেকে আবার ঢাকার বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করি।ঘটনার ১৫দিনের মাথায় সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাতে মারা যায়।মঙ্গলবার বাড়ীতে এনে তার লাশ দাফন করি।ভাই আহত হওয়ার পর তার একটি কন্যা সন্তান হয়।দুঃখের বিষয় এই যে ভাই তার মেয়েকে কোলে নিয়ে আদর করতে পারেনি।
প্রসঙ্গতঃ গত ৫ই সেপ্টেম্বর দুপুরে মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে গ্যাস পাইপ ফেটে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।এসময় একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা পুড়ে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়।এসময় যাত্রী ও চালকসহ মোট ৭জন অগ্নিদগ্ধ হয়।