আগামী ১১ নভেম্বর চাঁদপুর সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।দ্বিতীয় ধাপে দেশের ৮৪৮টি ইউনিয়ন পরিষদের সাথে চাঁদপুরেও একযোগে এই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।নির্বাচনকে ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীদের ব্যাপক প্রচার প্রচারণা করতে দেখা গেছে।
প্রথমে চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হলেও ভোট গ্রহণের মাত্র ২দিন আগে ১৩নং হানারচর ইউপির নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।ওই ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুর ছাত্তার রাঢ়ীর হাইকোর্টে একটি রিটের প্রেক্ষিতে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
যার ফলে আগামীকাল চাঁদপুর সদরের ৯টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।এই ৯টি ইউনিয়নে সর্বমোট ৩৭৬ জন প্রার্থী প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩১জন,সাধারণ সদস্য পদে ২৭৫ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৭০ জন প্রার্থী রয়েছেন।
তবে এর মধ্যে ৭নং তরপুরচন্ডী ও ৫নং রামপুর ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ইতিমধ্যেই বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।এই ১০ ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৮৭ হাজার ৫৫ জন।এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ৯৭ হাজার ৩৯৫ জন এবং মহিলা ভোটার সংখ্যা ৮৯ হাজার ৬শ’ ৬০ জন।নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন এবং জেলা নির্বাচন অফিস সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
চাঁদপুর জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়,৯টি ইউনিয়নের নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি ৩ প্লাটুন র্যাব, ৩ প্লাটুন বিজিবি,২ প্লাটুন কোস্টগার্ড মোতায়েন করা হয়েছে।এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে ৫জন পোশাকধারী পুলিশ,১৭জন আনসার সদস্য স্থায়ী টহলে থাকবে।৯টি ইউনিয়নে মোট কেন্দ্র ৯৬টি,মোট ভোট কক্ষ রয়েছে ৫৪৮টি,মোট অস্থায়ী কেন্দ্র ১০৬টি।
চাঁদপুর জেলা নির্বাচন অফিসার তোফায়েল হোসেন জানান,সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।ইতিমধ্যে প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য ব্যালট পেপার,ব্যালটবক্সসহ নির্বাচনী সকল প্রকার সরঞ্জামাদী কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে।নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১০৫ জন প্রিজাইডিং অফিসার,৫৭১ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ১১৪২ জন পুলিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।এসকল অফিসারদের নির্বাচন পরিচালনায় প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।