লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় অনশনরত রিয়ার ঘটনাটি মিমাংসা করে দেওয়ার কথা বলে ছেলের পরিবারের কাছ থেকে জোর করে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে গোতামারী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে মোস্তাকিনের মা জোসনা বেগম বাদী হয়ে গোতামারী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আমিনুর রহমানকে প্রধান আসামী করে ৭ জনের বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর আগে ওই উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নে গত ২রা জুলাই এ ঘটনা ঘটে।
এজাহার ভুক্ত অন্য আসামীরা হলেন গোতামারী ইউনিয়নের দই খাওয়া আব্দুল গফুরের ছেলে শহিদুল (৪০) ও রবিউল (২৬) একই এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে আব্দুল মালেক (৩০) ও রিপন (২৭), একই এলাকার মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে মাহাবুল (২৭)সহ কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার খাকশ্রী গ্রামের ইসরাত জাহান রিয়া (১৮)।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ঢাকায় চাকুরী করার সুবাদে কিশোরগঞ্জের রিয়ার সাথে পরিচয় হয় গোতামারী ইউনিয়নের ছেলে মোস্তাকিনের। পরিচয় থেকে মন দেয়া নেয়া। মেয়েটি বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় বাড়িতে চলে আসে মোস্তাকিন। গত মাসের ২৮জুন ছেলের বাড়ীতে বিয়ের দাবী নিয়ে অনশন শুরু করেন মেয়েটি।
সেই ঘটনায় গত ২ জুলাই স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিনুর রহমান মিমাংসার নামে মোস্তাকিনের পরিবারের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা আদায় করেন। এরপরও আরও ৫ লক্ষ টাকা দাবী করেন আমিনুর মেম্বার। তানা হলে মেয়েটিকে আবারও তার বাড়িতে ঢুকিয়ে দেয়া হবে বলে আমিনুর মেম্বার ছেলের পরিবারকে হুমকি দেয়।
জোসনা বেগম বলেন, আমিনুর মেম্বারসহ আসামীরা জোর করে আমার বাড়ীতে মেয়েটিকে ঢুকিয়ে দিয়েছে। মিমাংসার জন্য ৫০ হাজার টাকা নিয়েও মিমাংসা না করে মেয়েটিকে নিজের হেফাজতে রেখে আর ও পাচঁ লক্ষ টাকা দাবী করেন। তাই আমি স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আমিনুর রহমান বলেন, মামলাটি আমরা স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করেছি।এজাহার প্রত্যাহারের আবেদন দিয়েছেন কিনা বাদী জোসনা বেগম এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর তিনি দিতে পারেননি। এছাড়াও থানায় মিমাংসার কোন কাগজ কেউ জমা দেয়নি বলে পুলিশ জানান।
গোতামারী ইউপি চেয়ারম্যান মোনাব্বেরুল হক মোনা বলেন, বিষয়টি শোনার পর আমি আমিনুর মেম্বারকে টাকা ফেরত দিতে বলেছি। পরে শুনি তিনি টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো আমার নামেই অপপ্রচার চালাচ্ছে। এছাড়াও ঘটনার প্রেক্ষিতে উভয় পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি মিমাংসা করার এখতিয়ার ইউনিয়ন পরিষদের না থাকায় আমরা এ বিষয়ে কোন হস্তক্ষেপ করিনি।
হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এবিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ ঘটনায় কোন মিমাংসা হয়েছে কিনা এবিষয়ে কিছুই জানেননা ঐ ওসি।