ফাড়িঁ ও হাইওয়ে পুলিশের যোগসাজশে ঢাকা সিলেট মহাসড়ক ভুলতা গাউছিয়া এলাকায় দুই পাশ দখলে রেখেছে হকাররা। সড়কের বেশির ভাগই কাঁচাবাজার, গাড়ি চলাচলের রাস্তাও রাখেন হকারেরা। মহাসড়ক হকারের ভ্যানগাড়ি ও ফুটপাত দখল করায় মহাসড়কে সারাদিনই লেগে থাকে দীর্ঘ যানজট। যানজটে ভুগান্তি স্বিকার হয় পথচারীসহ যানজটে আটকে পড়ে পরিবহন যাত্রীরা। প্রতিদিন এই হকার উচ্ছেদ নিয়ে চলে চোর পুলিশের খেলা, একদিকে পুলিশ ফুটপাত উচ্ছেদ করে অন্য দিকে হকারেরা দখল করে।
ভুক্তভোগিদের অভিযোগ ঢাকা সিলেট মহাসড়কের ভুলতাএলাকায় ফাড়িঁ ও হাইওয়ের আইনশৃখংলা বাহিনী থাকার পরও মহাসড়কের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে পারেনি বলে অভিযোগ উঠছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ কর্তব্যরত কাঁচপুর হাইওয়ে ও ফাঁড়ির পুলিশ। প্রশাসন মহাসড়ক দখলমুক্ত করতে ব্যর্থ হচ্ছে কেন এমনই প্রশ্ন জনমনে। তাহলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কি হকারদের অলিখিত কোন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে? ফুটপাত নিয়ে হাইওয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, দিনরাত ফুটপাত দখলমুক্ত করার জন্য সকাল বিকাল চেষ্টা করে যাচ্ছি কিন্তু পুলিশ পর্যাপ্ত না থাকায় ফুটপাত ও মহাসড়কটি দখলমুক্ত করা সম্ভব হচ্ছেনা।
ভুলতা ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান জানান, মহাসড়ক দখলমুক্ত করার জন্য হাইওয়ে পুলিশের দায়িত্ব। তার পরও আমরা সব সময় পরিস্কার করার চেষ্টা করি। আমাদের ভিআইপি নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। তার পরও ৯৯৯ নাম্বারে কল আসলে সেখানে যেতে হয়। আমাদের সামনে মহাসড়কে ফুটপাত বসলে সাথে সাথে পরিস্কার করার চেষ্টা করি। পরিস্কিকারের কিছু সময়ের মধ্যেই হকারেরা আবার দখল করে ফেলে। এ যেন আসলেই চোর পুলিশের খেলার মত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এখানকার চোর পুলিশের খেলার অবসান চায় এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর অভিযোগ, হাইওয়ের পুলিশ দিনে দুই একবার দেখা যায়, তারা চলে যাওয়ার সাথে সাথে হকাররা মহাসড়ক দখল করে নেয়। সচেতনমহল অভিযোগ করে বলেন। এ খেলায় লাভবান হচ্ছে ফাঁড়ির কতিপয় পুলিশ আর সরকার দলীয় নেতারা। এলাকাবাসী জানান, ফুটপাতের হকারদের কাছ থেকে প্রতিদিন প্রায় লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে নিচ্ছে চাঁদাবাজরা।
২৯ মার্চ মঙ্গলবার ফাঁড়ি পুলিশের একটি দল গোলাকান্দাইল চৌরাস্তা থেকে ফাঁড়ি পর্যন্ত পরিস্কার করলেও তাঁতবাজার থেকে গোলাকান্দাইল পর্যন্ত পুরো এলাকা হকাররা দখলে রেখেছে। ঢাকা সিলেট মহাসড়কের তাঁতবাজার এলাকার সামনের মহাসড়ক ও ফুটপাতটি দখলে নেয় শত শত ভ্যানগাড়ী। হকাররা মহাসড়ক ফুটপাতটি দখলে নেয়ার সাথে সাথেই গোলাকান্দাইল চৌরাস্তার বেবীট্যাক্সি ষ্ট্যান্ডটিও দখল করে নেয় ট্যাক্সীচালকরা।
এখানে যেন চলতে থাকে দখলের মহা উৎসব। যদিও বেবীট্যাক্সি ষ্ট্যান্ড হাইওয়ে পুলিশ বক্স সংলগ্ন। সচেতন মহল মনে করেন এখানে পুলিশ বক্স থাকার পরও কেন হকারদের কিছু বলে না। এর পিছনে পুলিশের যোগসাযোগ আছে কি না এটা ক্ষতিয়ে দেখা দরকার। কেনই বা তারা বক্সে থাকার পরও অভিযানের সময় ছাড়া কিছু বলে না। সব মিলে আইনশৃংখলার চরম অবনতি হয়েছে বলেন সচেতনমহল । নানা সমস্যায় জর্জরিত এলাকাটি যেন দেখার কেউ নেই, এখানকার কয়েকজন পুলিশের নিস্কৃয়তায় পুলিশ বাহিনির সুনাম ও অর্জন নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করেন অভিজ্ঞমহল। উর্ধতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি একান্তভাবে কামনা করেন এলাকার সচেতনমহল।৷