মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ সদর ইউপি বাঘমারা গ্রামে স্বাধীনতার ৫০ বছরের উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি।শনিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে কাচা সড়কটি পাঁকা করে নির্মানের দাবীতে বাঘমারা গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন পালন করেন।এতে কৃষক,মজুর,মাদ্রাসা,স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থী মিলিয়ে প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ অংশ নেয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন,বাঘমারা গ্রামের আনোয়ার হোসেন,নজির মিয়া,তোয়াব আলী,সাজ্জাদ মিয়া,সিরাজুল ইসলাম,সোয়াব আলী,ইয়াকুব আলী, ইউসুফ মিয়া,মাওলানা মইন উদ্দিন,শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম ও নাছরিন বেগম।মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,স্বাধীনতার পর থেকেই বাঘমারা গ্রামটি অবহেলিত।কৃষি নির্ভর এ গ্রামে প্রায় ৫ হাজার মানুষের বসবাস।
অথচ কৃষকরা তাদের রোপিত ফসলাদি বিক্রির জন্য হাট-বাজারেও নিতে পারেন না এ কাচা সড়কের জন্য।প্রতিবছর নির্বাচন আসলে ইউপি সদস্য, চেয়ারম্যানসহ নেতৃবৃন্দরা সড়কটি পাকা করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।অথচ তিন পুরুষের জীবন কেটে গেলেও কোন কাজ হচ্ছেনা।তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবী জানান বেহাল এ সড়কটি দ্রুত পাঁকাকরণ করার জন্য।
এ গ্রামে ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়,২ টি মাদ্রাসা ও ২টি মসজিদ রয়েছে।বাঘমারা গ্রামের জামাল মিয়ার বাড়ির সম্মুখ থেকে সাবেক ইউপি সদস্য নুর ইসলামের বাড়ি পর্যন্ত সড়কের বেহাল অবস্থা।এ বিষয়ে আলাপকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মতিন বলেন,অনেক বছর থেকে বাঘমারা গ্রামবাসীর বিদ্যুৎ ও পাঁকা সড়কের দাবী।
৩ বছর আগে এ গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হলেও কাঁচা সড়কটি বর্তমানে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।ইতোমধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে সড়কটি পাঁকা করণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।করোনার কারণে হয়তো কাজ হয়নি,দ্রুত সড়কটি পাকা করা হতে পারে।এ বিষয়ে কমলগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নানের সাথে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে এ বিষয়ে এলজিইডির কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম জানান,আজ অফিস তো বন্ধ অফিস খুললে দেখে বলতে পারবো এমপি সাহেবের কোন প্রকল্প আছে কি না!তারপরও আমি খোঁজ নিয়ে বিষয়টা দেখবো।