মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জে স্বামীকে মদের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে হত্যার অভিযোগে পরকীয়া প্রেমিক সেলিম মিয়াসহ নিহতের স্ত্রী অষ্টমী বাউরীকে আটক করেছে পুলিশ।এর আগে স্থানীয়রা তাদেরকে আটক করে গাছের সাথে বেধে রেখে পুলিশকে খবর দেয়।বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সকালে উপজেলার ফুলবাড়ি চা-বাগান এলাকায় নিজ বাসা থেকে নিহত চা-শ্রমিক বিজয় বাউরীর (৩৫) লাশ উদ্ধার করা হয়।
ফুলবাড়ি চা বাগান সূত্রে জানা যায়, ১০ বছর আগে জুড়ির সোনারুপা চা বাগানের মতি বাউরীর মেয়ে অষ্টমীর বিয়ে হয়েছিল ফুলবাড়ি চা বাগানের বিজয় বাউরীর সাথে। তাদের ঘরে ৭ ও ৪ বছর বয়সী দুটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। বছরখানেক আগে ফুলবাড়ি চা বাগানের চান মিয়ার ছেলে সেলিম মিয়ার সাথে বিজয়ের স্ত্রী অষ্টমীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিজয় বাউরী প্রায়ই রাতে মদ পান করে ঘুমাত। এ সুযোগে অষ্টমী বাউরীর ঘরে প্রেমিক সেলিম আসা যাওয়া করতো।বুধবার দিবাগত রাতে পরিকল্পনা মত বিজয় বাউরীকে মদের সাথে অতিরিক্ত ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে খাওয়ালে সে অচেতন হয়ে পড়ে এবং মারা যায়।
বিজয়ের বড়ভাই দয়াল বাউরী তার ভাইয়ের ঘরে প্রেমিক সেলিমের উপস্থিতি টের পেয়ে আশপাশের শ্রমিকদের অবহিত করলে ভোররাতে চা-শ্রমিক বিশ্বজিত, বুদু চন্দন, সোহেল, মনা, সুমনের নেতৃত্বে একটি দল ঘর থেকে প্রেমিক সেলিমসহ অষ্টমী বাউরীকে আটক করে ঘরের বাইরে একটি গাছের সাথে বেঁধে রেখে বাগান কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকে খবর করে। এসময় ঘরের মেঝেতে বিজয় বাউরীর মরদেহ পড়েছিল।
ফুলবাড়ি চা-বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি মনোরঞ্জন পাল দৈনিক কালজয়ীকে বলেন, ‘বিজয়ের স্ত্রীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে সেলিম মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দুবছর আগে বাগানের আরেক শ্রমিকের স্ত্রীর সাথেও সেলিম প্রেম করে ধরা খেয়ে পালিয়ে যায়। এ চা বাগানের অনেক নারী তার কাছে সম্ভ্রম হারিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান বলেন, ‘লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় প্রেমিক যুগলকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হবে।