স্কুল ছাত্রীকে ঘরে একা রেখে রাস্তার কর্মসূচি কাজে চলে যায় মা কমলা বেগম, আর প্রতিদিনের মত বিভিন্ন এলাকায় ভিক্ষা করতে সকালে ঘর থেকে বেড়িয়ে পড়ে বাবা আবুল কালাম। কর্মসূচি কাজ শেষ ‘মা’ কমলা বেগম নিজ ঘরে এসে দেখতে পায় তার মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে।
শনিবার দুপুরে নিজ ঘরে নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তবে স্কুল ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে কেউ কেউ মনে করছেন এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা। লাকসাম উপজেলার কান্দিরপাড় ইউনিয়নের অশ্বতলা গ্রামে স্কুল ছাত্রীর বসত ঘরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত স্কুল ছাত্রী মাকসুদা আক্তার (১৬) সে লাকসাম রেলওয়ে হাইস্কুলে (এ মালেক ইনষ্টিটিউট) নবম শ্রেণিতে উন্নীত। উপজেলার অশ্বতলা গ্রামের হতদরিদ্র আবুল কালামের মেয়ে।জানা গেছে, শনিবার (৭ জানুয়ারি) প্রতিদিনের মত সকাল ৭টার দিকে মা কমলা বেগম সরকারি কর্মসূচি রাস্তার কাজে মনোহরপুর এলাকায় চলে যায়।
তার বাবা আবুল কালাম বিভিন্ন এলাকায় ভিক্ষা করতে সকালে ঘর থেকে বেড়িয়ে পড়েন। রাস্তার কাজ শেষে কমলা বেগম বাড়িতে দুপুরে ফিরে এসে দেখেন ঘরের দুটি দরজাই বন্ধ। পরে দরজার উপরের টিন ফাঁক করে একটি বাচ্চাকে ভেতরে ঢুকিয়ে দরজা খুলে দেখতে পায় মাকসুদা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সিলিংয়ের সাথে ঝুলে রয়েছে।
এ সময় তার শোরচিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন। খবর পেয়ে লাকসাম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুরতহাল রিপোর্ট করে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। লাকসাম থানার উপপরিদর্শক সোহরাব হোসেন ভূঁইয়া জানান, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য রোববার (৮ জানুয়ারি) সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
নিহতের মা কমলা বেগম জানান, সকালে কাজে যাওয়ার সময় মাকসুদা পেট ব্যথার কথা বলে আমাকে জানায়, তার পেট ব্যথা কথাটি ঠান্ডার কারণে হতে পারে বলে তেমন গুরুত্ব মনে করিনি। তার সাথে কোন ছেলের সম্পর্ক ছিল না, কি কারণে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে তা আমি জানিনা।