নীলফামারীর সৈয়দপুরে সড়ক দূর্ঘটনায় ২ জন নিহত ও ১৮ জন আহত হয়েছে। ৩১ অক্টোবর রোববার বিকাল সাড়ে ৩ টায় বাস টার্মিনালের অদূরে মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালের সামনে এই দূর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে একজন হাসপাতালের এম্বুলেন্স ড্রাইভার এবং অন্যজন বাসযাত্রী। ফাহিম এন্টার প্রাইজ নামের গেটলক মিনিবাস (ঢাকা মেট্রো-চ-১৪০১৯৫) এই দূর্ঘটনা ঘটিয়েছে।জানা যায়, রংপুর থেকে ঠাকুরগাঁও যাওয়ার পথে সৈয়দপুর টার্মিনাল ছেড়ে সামান্য এগিয়ে যেতেই মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালের সামনে পৌঁছে হাসপাতালের এম্বুলেন্স ড্রাইভারকে চাপা দেয় বাসটি। এতে সে ঘটনাস্থলেই মারা যান।অবস্থা বেগতিক দেখে পালানোর চেষ্টা করে চালক।বেপরোয়া গতীতে বাস চালানোর কারনে সামান্য দূরে গিয়েই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে সে। ফলে বাসটি রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে উল্টে যায়। এতে এক বাসযাত্রী মারা যায় এবং প্রায় ১৮ জন আহত হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত ৫ জনকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অন্যদের মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালেই প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা দেয়া হয়েছে।নিহত এম্বুলেন্স চালকের নাম সহিদার ইসলাম (৪০)।
তিনি সৈয়দপুর শহরের কয়ানিজপাড়ার বাসিন্দা এবং রংপুরের বেতপাড়ার (পালপাড়ার) রমজান আলীর ছেলে। আর নিহত বাসযাত্রী মনসুর আলী (৫৯) দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার পূর্ব মল্লিকপুরের ওমর আলীর ছেলে।সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর উপ সহকারী পরিচালক আমিরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়েই সৈয়দপুর ও নীলফামারী ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এবং সৈয়দপুর থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করে। এদিকে দূর্ঘটনার পর পরই মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালের কর্মচারী ও এলাকার লোকজন এগিয়ে আসে। কিন্তু তার আগেই চালক ও হেলপার পালানোয় তারা সড়ক অবরোধ করে। প্রায় ১ ঘন্টাব্যাপী উদ্ধারকাজ ও অবরোধ অব্যাহত থাকায় সড়কের দুইপাশে শতাধিক যানবাহন আটকে যায়। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে পলাতক চালক ও হেলপারকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আটকের আশ্বাস দিলে জনগণ অবরোধ সরিয়ে নেয়।সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত)মোঃ খায়রুল আনাম জানান, ঘটনাস্থল থেকে ২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আহতদের মধ্যে ৫ জনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং নিহতদের পরিবারের কাছে খবর পাঠানো হয়েছে।