সুরমায় ঘাটে বাঁধা ট্রলার থেকে গাঁজার চালান জব্দ করলেও মাদক কারবারি ট্রলারের মাঝি মালিক সহ মাদক কারবারি চক্রের সদস্যদের নাগাল পায়নি পুলিশ! সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জের সুরমা নদীর তীরবর্তী রামনগর সহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষজন গত কয়েক বছর ধরে নৌ পথে মাদক সহ চোরাকারবারিদের দাপট দেখতে দেখতে রোববার অনেকটা ক্ষোভ প্রকাশ করেেই এমন অভিযোগ আনলেন।
চিহিৃত বিদেশি মাদক চোরাকারবারি চক্র, গাঁজা সহ নানা চোরাচালানী পণ্য সামগ্রী সুরমা নদীর নৌ পথে ট্রলার যোগে পরিবহন কাজে থাকা চোরাকারবারি চক্রের সহযোগি ট্রলার মালিক- মাঝিকে জেনে শুনে আইনি প্রক্রিয়ার বাহিরে রেখে জামালগঞ্জ থানা পুলিশ শনিবার ট্রলার থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজা থেকে মাত্র ৬ কেজি গাঁজা পরিত্যক্ত অবস্থায় জব্দ করে দায়সারা ভাবে অজ্ঞাত নামা আসামি দেখিয়ে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।
রোববার বিকেলে জামালগঞ্জের রামনগর সহ পার্শ্ববর্তী গ্রামের মানুষজন থানা পুলিশ –মাদক চোরাকারবারিদের দ্বারা মিথ্যা মামলা . হয়রানি করা হতে এমন আশংঙ্কায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে বলেন, শনিবার ভোররাতে উপজেলার রামনগর গ্রামের জনৈক ব্যাক্তির বাড়ির দক্ষিণে বসতবাড়ির তীরবর্তী সুরমা নদীর ঘাটে দ্রত গতি সম্পন্ন ইঞ্জিনযুক্ত একটি ট্রলারে অন্যত্র থেকে নিয়ে আসা গাঁজার চালান বোঝাই করে নদীর ঘাটে বেঁধে রাখা হয় ট্রলারটি।
ওই ট্রলারের মালিক উপজেলার রামনগর গ্রামের মৃত আবু বক্করের ছেলে জিল্লুর রহমানের। জিল্লুর এমন এক ট্রিপে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা ভাড়া প্রাপ্তির সুযোগ নিয়ে উপজেলার রামনগর গ্রামের মৃত আছির আলীর ছেলে রহিম আলী, একই গ্রামের মৃত কলমদর আলীর ছেলে নুরে আলম, পার্শ্ববর্তী হরিপুর গ্রামের মৃত হারিছ আলীর ছেলে বশির আহমদ এ তিন পেশাদার চিহ্নিত মাদক কারবারির গাঁজা বোঝাই ট্রলার শনিবার ভোররাতে গ্রামের সুরমা নদীর ঘাটে বেঁধে রাখে অন্যত্র পৌছে দেয়ার জন্য।
গাঁজা বোঝাই ট্রলার ও মাদক কারবারিদের তথ্য গ্রামের পক্ষ থেকে সকালের পরপর জামালগঞ্জ থানা পুলিশকে মোবাইল ফোনে অবগত করা হলে থানা পুলিশ শনিবার বেলা ৩টার পর ঘাটে এসে লোক দেখানো অভিযানের নামে পুলিশের উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের গুড লিষ্টে থাকার চেষ্টা হিসাবে ভিডিও চিত্র ধারণ করে ৬ কেজি গাঁজা জব্দ করে থানায় ফিরে যায়।