স্ত্রীর পরকিয়ায় বাধা দেয়ার কারণে জামাইকে বিষ খাইয়ে হত্যা করার অভিয়োগ উঠেছে স্ত্রী,শ্বশুর,শ্বাশুড়ী ও চাচা শ্বশুরের বিরুদ্ধে।নিহত ব্যাক্তির নাম বিল্লাল হোসেন (২৫)।সে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের হালুয়ারগাঁও গ্রামের মোঃ সুলতান মিয়ার ছেলে।উল্লেখ্য বিয়ের পর থেকে সে স্ত্রীসহ শশুর বাড়িতেই থাকত।সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোরে মারা যান বিল্লাল।
স্থানীয় ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,প্রায় ৮ বছর পূর্বে একই ইউনিয়নের বেরীগাঁও (কৃষ্ণতলা) গ্রামের মোঃ আব্দুস সালামের মেয়ে ফাতেমা বেগমের সাথে ইসলামি শরিয়া মোতাবেক বিয়ে হয় বিল্লালের।ভালোভাবেই চলছিলো তাদের দাম্পত্য জীবন।কিন্তু বিগত মাসখানেক যাবৎ বিল্লালের অগোচরে তার সহধর্মিনী ফাতেমা বেগম পার্শ্ববর্তী তাহিরপুর উপজেলার বড়ছড়া এলাকার মোঃ জাবেদ মিয়া নাকে এক ট্রাক্টর চালকের সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েন।
বিষয়টি বিল্লালের নজরে আসলে সে প্রতিবাদ করে।এতে তার শশুর বাড়ির লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে তার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালাতো।বিল্লাল বিয়ের পর থেকে বেরীগাওঁ গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে থাকলেও পরবর্তীতে তার উপাজর্নের টাকা দিয়ে শ্বশুর বাড়ির পাশে ৬ শতক বসতভিটার জায়গা এবং লালন পালনের জন্য ২টি গরু কিনেন।তাছাড়া বিল্লাল অন্যের বাড়িতে কাজ করে তার কষ্টার্জিত ৬ লাখ টাকা তার স্ত্রী ফাতেমা বেগমের মাধ্যমে তার শশুর মোঃ আব্দুস সালামের কাছে জমা রাখেন বলেও পারিবারিক ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়।
বিল্লালের পিতা সুলতান মিয়া,চাচা আব্দুর রহমান ও বড় ভাই মধু মিয়া দাবী করেন,কেনা বাড়ি,নগদ টাকাসহ ২টি গরু আত্বসাৎ করে তাদের মেয়েকে পছন্দের ছেলের হাতে তুলে দেওয়ার জন্যই মঙ্গলবার রাতে স্ত্রী,শ্বশুর শ্বাশুড়ী ও চাচা শশুর মানিক মিয়া মিলে বিল্লালকে পানির সাথে বিষ মিশ্রিত করে খাওয়ানোর ফলে তার মৃত্যু হয়।সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে বিল্লাল হত্যার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপারসহ আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি দাবী জানান তারা।
এদিকে ঘটনার খবর শুনে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদুর রহমান নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আসেন। তিনি জানান,এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ নিয়ে আসলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।