সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে গৃহবধূ ধর্ষণ মামলায় সাত সন্তানের জনক মঞ্জুরুল হক(৪৬)নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে তাহিরপুর থানা পুলিশ। মঞ্জুরুল উপজেলার উওর বাদাঘট ইউনিয়নের বিন্নাকুলি লামাশ্রম গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে।
উল্লেখ্য, রবিবার মধ্যরাত পরবর্তী সময়ে উপজেলার উওর বাদাঘাট ইউনিয়নের বিন্নাকুলি লামাশ্রম গ্রামে ওই গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে।
মঞ্জুরুলসহ ঘটনার সময় তার সাথে থাকা অজ্ঞাত নামা দুই সহযোগিকে অভিযুক্ত করে তিন জনের নামে সোমবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন ভিকটিমের স্বামী।ভিকটিমের পরিবার ও মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, রবিবার মধ্যরাত পরবর্তী সময়ে উপজেলার বিন্নাকুলি লামাশ্রম গ্রামের এক গৃহবধূ (১৯) প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বসত ঘর থেকে বাহিরের টয়লেটে যান। টয়লেট থেকে ঘরে ফেরার সময় উপজেলার বিন্নাকুলি লামাশ্রম গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে মাদকাসক্ত মঞ্জুরুল হক(৪৬) তার সাথে থাকা অপর দুই সহযোগির সহায়তায় ওই গৃহবধূকে মুখ চেঁপে ধরে বসতঘরে নিয়ে এসে ধর্ষণ করে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়।
জ্ঞান ফিরলে ওই গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনাটি প্রতিবেশীদের ও মুঠোফোনের মাধ্যমে তার স্বামীকে অবগত করেন।মামলার বাদী ভিকটিমের স্বামী (অটো রিক্সা সিএনজি চালক) জানান, আমি ও আমার পিতা বাড়িতে না থাকার সুবাদে ফাঁকা বাড়িতে মাদকাসক্ত মঞ্জুরুল হক তার সাথে থাকা অপর দুই সহযোগীর সহায়তায় এই কাজ করেছে।তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. আব্দুল লতিফ তরফদার আসামী আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এই ধর্ষণের ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের ব্যাপারেও আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।