রঙ-বেরঙের কত নৌকা ভবের তলায় আয় রঙ-বেরঙের সারি গাইয়া ভাটি বাইয়া যায়,হাওরের কিংবদন্তি বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের গানের সুরে মাতোয়ারা হয়ে উঠে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মইয়ার হাওর।নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতারা নানা বাহারি নামের নৌকা নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সৌখিন নৌকা বিলাসীরা।
শনিবার (১৮ সেপ্টম্বর) জগন্নাথপুর পৌরসভার ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডবাসীর উদ্যােগে এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা আয়োজনকারীরা জানান,প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুর উপজেলায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন প্রতি বছর হয়ে থাকে।অনেক প্রবাসী ও এলাকাবাসী সখের বশে নৌকা তৈরি করে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।
জলপবন,ময়ূর পঙ্খি,জলহস্তী,কুশিয়ারাতরী,বাংলার পবন বাহারি নামের নৌকাগুলো হাওর এলাকায় নৌকা বাইচে দাপিয়ে অংশ নিচ্ছে।সম্প্রতি জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার বীরগাঁও এলাকার পাখিমারা হাওরে বিশাল নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠিত হয়।এর রেশ কাটতে না কাটতে জগন্নাথপুর উপজেলার মইয়ার হাওরে আয়োজন করা হয় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার।এতে ১০ টি নৌকা অংশ নেয়।প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয় উপজেলার সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নের চকতিলক গ্রামের নৌকা বাংলার পবন।
দ্বিতীয় স্থানে ছিল পৌর এলাকার হবিবপুর গ্রামের পবন।শনিবার দুপুরে এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার উদ্ধোধন করেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি সিদ্দিক আহমেদ।এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম,জগন্নাথপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রশীদ ভূঁইয়া,জগন্নাথপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আফছর উদ্দিন ভূঁইয়া,প্যানেল মেয়র সাফরোজ ইসলাম মুন্না,কাউন্সিলর শফিকুল হক,সুহেল আহমেদ প্রমুখ।বিকেলে বিজয়ী নৌকার মালিকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।