গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত নিগেন্দ্র কর কমলগঞ্জ পৌর এলাকার ৮ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম কুমড়াকাপন এলাকার নিপেন্দ্র করের ছেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন স্থানীয় স্বপন মিয়া ও তার কয়েকজন সহযোগী। স্থানীয়রা বলছে, কমলগঞ্জ স্থানীয় বখাটে যুবক স্বপন মিয়ার নেতৃত্বে তার সহযোগীরা নিগেন্দ্র করকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
স্বপন মিয়া কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য প্রয়াত হুছন মিয়ার ছেলে। স্বপন মিয়ার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার বিচার সালিশ ও হয়েছে। তার নেতৃত্বে একদল বখাটের কারণে আতঙ্কে থাকে স্থানীয় নিরীহ পরিবারগুলোর নিত্য দিন। আহত দোকানি নিগেন্দ্র কর বলেন, স্বপন মিয়া প্রায়ই তাঁর দোকানে এসে সিগারেট নিয়ে টাকা না দিয়ে চলে যায়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সহযোগীদের নিয়ে স্বপন তার বাড়ির সামনের দোকানে এসে বাকিতে সিগারেট চায়। তখন বাকিতে সিগারেট দিতে না বলায় অপারগতা প্রকাশ করলে স্বপন ক্ষিপ্ত হয়ে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পর স্বপনের নির্দেশে তার সহযোগীরা নিগেন্দ্র’কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন ও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে কমলগঞ্জ পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আহাদুর রহমান বুলুসহ স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
নিগেন্দ্র কর জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসার পর তাঁর পিঠের বিভিন্ন স্থানে ৮২টি সেলাই দিতে হয়েছে। ভয়ে তিনি এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ করেননি। কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পর থেকে হামলাকারী বখাটেদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নিতে তিনি দোকানীর পরিবারকে সহায়তা করবেন বলে আশ্বাস দেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বপন মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ থানার তদন্ত কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, এ ঘটনায় এখনো থানায় কোন কেউ অভিযোগ করেনি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।