মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ধর্ষণের অভিযোগে একই দিনে ৩টি পৃথক মামলা হয়েছে। তথ্য সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামের মোঃ পান্নু মিয়ার স্ত্রীকে (২০) তার দেবর জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। স্বামী প্রবাসে থাকায় মুন্সিনগর গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে দেবর হেলাল ফকির দীর্ঘদিন যাবত নানাভাবে তার ভাবীকে উত্যক্ত করে আসছিল। হেলাল ফকিরের ভয়ে ওই মহিলা তার বাবার বাড়িতে বসবাস করছিল । হেলাল ফকির গত রোববার (১৪ নভেম্বর) বিকাল ৪ টার দিকে মহিলার বাবার বাড়িতেই জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে ।

এ সময় তার ডাক-চিৎকারে বাড়ির লোকজন ঘরের দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে হেলাল ফকিরকে আটক করে পুলিশে দেয় তারা। অপরদিকে, উপজেলার পৌর এলাকার আঙ্গাঁরিয়া মহল্লার আবাসনের আনোয়ার হোসেনের বুদ্ধি প্রতিবন্ধি মেয়ে (১৪) গত ২৪ অক্টোবর দিবাগত রাত ১০ ঘটিকার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাহিরে বের হয়। এ সময় প্রতিবেশী শহীদের ছেলে আলামিন (২২) ওই মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় ।

এদিকে, উপজেলার পৌর এলাকার গোবিন্দল গ্রামের আলামিনের স্ত্রীকে (২৮) বিয়ের প্রলোভনে উপজেলার বলধারা ইউনিয়নের মানিকদহ গ্রামের হাছেন বিশ্বসের ছেলে দুলাল বিশ্বাস (৩০) ধর্ষণ করে। ট্রাক ড্রাইভার দুলাল বিশ্বাস ওই মহিলার বাড়িতে বিভিন্ন অজুহাতে আসা-যাওয়া করত। গত ২৬ অক্টোবর দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মো. দুলাল বিশ্বাস আলামিনের ঘরে সুকৌশলে প্রবেশ করে তার স্ত্রীকে বিবাহের প্রলোভনে ফুসলিয়ে ধর্ষণ করে বলে জানা গেছে।

এ অভিযোগে রোববার রাতে থানা পুলিশ অভিযুক্ত দুলাল বিশ্বাসকে আটক করেন। সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ সফিকুল ইসলাম মোল্ল্যা বলেন, পৃথক ঘটনায় ৩টি মামলা হয়েছে। ২ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত আসামীদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।