কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে কোটা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহার, কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কার দাবি করেন তারা। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ ও ছাত্র সমাবেশের ব্যানারে প্রতিবাদ জানায় শিক্ষার্থীরা।
এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মসূচিতে কর্মসূচিতে অংশ নিতে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাম্পাসের বটতলা প্রাঙ্গণে জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা। পরে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রধান ফটক সংলগ্ন মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন বিভাগের ১ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী এতে অংশ নেয়।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, যে বৈষম্য থেকে মুক্তির জন্য দেশকে স্বাধীন করা হয়েছিল, সেই বৈষম্য যেন আর না থাকে তাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমেছে। চাকরী পরীক্ষা ও ভর্তি পরীক্ষাসহ সবখানে কোটার ছড়াছড়ি। এর মাধ্যমে মেধাবীদের বঞ্ছিত করা হচ্ছে। সংবিধানে বলা আছে কোটা থাকবে শুধু পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য। এটা নিয়ে আমরা স্থায়ী সমাধান চাচ্ছি। সুনির্দিষ্ট কমিশন গঠন করে কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কার করা হোক সেটাই আমাদের চাওয়া।
সমাবেশ চলাকালীন সময়ে সমাবেশ স্থলে গিয়ে কোটা আন্দোলনকারীদের পক্ষে সংহতি জানিয়েছেন ইবির অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষিকা ফারহা তানজীম তিতিল। এসময় তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী, উপজাতিদের কিছু কোটা থাকা উচিত। আমি শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করছি। তবে আন্দোলনে তেমন গতি দেখছি না। আন্দোলন এমন হতে হবে যাতে বাঁধাদানকারীরা ভয় পায়।