শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্ভাবনী উদ্যোগ “ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ” বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ বিভাগ ইতোমধ্যে রূপকল্প ২০২২ সালের মধ্যে সবার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে মান সম্মত বিদ্যুৎ’ গ্রহণ করেছে। তারেই ধারাবাহিকতায় ভোলার দৌলতখান উপজেলার ইউনিয়নের মদনপুর, মেদুয়া, ভাবানীপুর ইউনিয়ন ও সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নে চর এলাকায় সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। শীগ্রই অনুষ্ঠানিক ভাবে বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন করবেন ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল।
১৫ কোটি ৯৪ লাখ ৩৯ হাজার টাকা ব্যয়ে বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়া হয়েছে ভোলার বিভিন্ন চর অঞ্চলের বাসিন্ধাদের ঘরে ঘরে। এই চরগুলোর ২৪১৫ টি পরিবারের মধ্যে ২২৬৪ পরিবার ইতি মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। তুলাতুলি মাছ ঘাট থেকে মেঘনার তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে মদনপুর ও কাচিয়া ইউনিয়নের কয়েক টি চরে বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য এ ব্যবস্থা করে ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।
মদনপুরের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার হেলাল উদ্দিন বলেন, এতদিন বিদ্যুৎ না থাকায় আমাদের চরের ছাত্রছাত্রীরা সন্ধ্যার পর ঠিক মতো পড়া লেখা করতে পারেনি। তেল কিনে কপির বাতি দিয়ে সকলের পক্ষে রাতে পড়াশুনা করা সম্ভব হয় না। সবার পক্ষে সৌরবিদ্যুত কেনাও সম্ভব নয়। তাই চরে বিদ্যুৎ দেয়ার উদ্যোগ নেয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল এমপিকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
স্থানীয় বাসিন্ধা ইব্ররাহীম বলেন, চর মদনপুরে বিদ্যুৎ আসবে এটা ছিল স্বপ্নের মত। দীর্ঘদিন সৌরবিদ্যুতের দিয়ে চলত, মাঝে মাধ্যমে ঠিকমত বাতিও জ্বলত না। সৌরবিদ্যুত দিয়ে ফ্রিজ চালানো যায়না। ফ্রিজ চলাতে না পারার কারণে ডাক্তাররা জরুরী ওষুধ দোকানে রাখতে পারে না। যার ফলে আমরা চরম বিপাকে পড়তে হয় । এখন বিদ্যুৎ আসায় এ সমস্যা আর থাকবেনা।
মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ কে এম নাছির উদ্দিন নান্নু বলেন, প্রধানমন্ত্রী দিকনির্দেশনায় দেশের উন্নয়নের জোয়ার বইছে। তারই ধারাবাহিকতায় দেশের প্রতিটি চরের ন্যায় আমাদের ইউনিয়নেও সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে গেছে প্রতিটি গ্রামে। আর তাই আমি অত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল এমপিকে ধন্যবাদ জানাই।
মদনপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মনিরুজ্জাম বলেন, আজ আমরা বিদ্যুৎ পেয়েছি। এজন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কে প্রান খুলে দোয়া করছি। তিনি না হলে কখনই সম্ভব হতো না এই দ্বীপ চরে বিদ্যুৎ পৌছানো।
ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোঃ আলতাপ হোসেন জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিকনির্দেশনা মোতাবেক অফগ্রীড এলাকায় বিদ্যুতায়নের কাজ সম্পন্ন করছি। এর মধ্যে আমাদের তুলাতুলি টু কাচিয়া এবং চর মদনপুর এলাকাটাও এর ভেরতে অন্তর্ভুক্ত আছে। ইতমধ্যে ৫০ কিলোমিটার ওভার হেড লাইন নির্মাণ করছি, সাড়ে চার কিলোমিটার সাবমেরিন ক্যাবল টানা হয়েছে। এর মাধ্যমে ২ হাজার ২৬৪ গ্রাহক বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। এই বিদ্যুৎ সুবিধা আওতাভুক্ত এলাকায় এর ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে সামাজিক ও শিক্ষাব্যবস্থায়।