জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দালালদের দৌরাত্ম্যে দিশেহারা রোগী ও তাঁদের স্বজনরা। মূল ফটক থেকে শুরু করে ভেতরের ওয়ার্ড পর্যন্ত পুরো হাসপাতাল জুড়ে দালালদের অবাধ বিচরণ ও আধিপত্য বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। দালালদের দৌরাত্ম্য ও তাঁদের রাজনীতির কাছে নিরুপায় বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিন দেখা যায়, হাসপাতালের মূল ফটক, জরুরি বিভাগের ভেতরে-বাইরে, বহির্বিভাগে চিকিৎসকদের প্রায় প্রতিটি দরজার সামনে ও অন্তর্বিভাগের সব কটি ওয়ার্ডেই দালালদের অপতৎপরতা। হাসপাতালের সহকারী মেডিক্যাল কর্মকর্তা আশিকা আক্তারের রুমে গিয়ে । স্থানীয় এক ক্লিনিকের দুই দালালকে নিয়ে বসে খোশগল্পে মেতে আছেন তিনি।
তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে গেলেই ‘আমরা রোগী না ক্লিনিকে কাজ করি বলে দৌড়ে বের হয়ে যান। এ সময় কথা হয় ওই সহকারী মেডিক্যাল কর্মকর্তা আশিকা আক্তারের সঙ্গে। দালালদের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অনেক সময় রোগীদের সঙ্গে কক্ষে ঢুকে আবার রোগীর সঙ্গেই বের হয়ে যান তাঁরা। এখন রোগী কম, তাই রুমে বসেছিলেন। তাঁরা তো সব ডাক্তারের রুমে রুমেই যান। কেউ তো তাঁদের রুমে ঢুকতে নিষেধ করেন না।
হাসপাতাল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মূল ফটক থেকে হাসপাতাল রোডের দুই দিকে প্রায় অর্ধশত ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্যাথলজি ল্যাব ও প্রাইভেট চেম্বার গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে দু-তিনটির লাইসেন্স থাকলেও বেশির ভাগেরই কোনো অনুমোদন নেই। ভাটারা ইউনিয়ন থেকে চিকিৎসা নিতে আসা চাঁদনী আক্তার বলেন, ‘গত সোমবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসি। ডাক্তার কিছু পরীক্ষা করতে দেন। এ সময় কয়েকজন দালাল এসে ঘিরে ধরেন। তাঁদের মধ্যে একজন হাতের প্রেসক্রিপশন ছিনিয়ে নিয়ে বলেন, ‘এখানে পরীক্ষা হবে না। আপনাকে ভালো জায়গায় নিয়ে যাই।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. সাহেদুর রহমান সাহেদ বলেন, ‘দালালদের কাছে কর্তৃপক্ষ অসহায়। হাসপাতাল এলাকা দালালমুক্ত করতে বারবার আইন-শৃঙ্খলা সভায় আলোচনা করেও লাভ হয়নি।