মো.তাসলিম উদ্দিন সরাইল( ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সরাইলে মেঘনা নদী ভাঙ্গন মানুষদের চিত্র ঘুরে দেখলেন উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলি আজাদ এমপি। সকল মানুষের শেষ সম্ভল ব্যবসার চাতাল কলও ভিটে মাটি আর যেন না হারাতে হয় সে জন্য সকল প্রকার চেষ্টা করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নে মেঘনা নদীর ভাঙনের কবলে পড়া এলাকা পরিদর্শন করেছেন সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৩১২ আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলি আজাদ।১২ জুলাই মঙ্গলবার বিকালে সাড়ে চারটার সময় উপজেলার পানিশ্বর বাজার থেকে পালপাড়া, শাখাইতি পযর্ন্ত নদী পাড়ের ভাঙ্গন পরিদর্শন করেন এবং ভাঙ্গন কবলিত গ্রামের মানুষের খোঁজ-খবর নেন।
নদী ভাঙ্গনের শিকার মানুষদের সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি সংশ্লিষ্টদের ভাঙ্গন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। নদী ভাঙ্গনের শিকার হওয়া মানুষদের সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেন। এই নদী ভাঙ্গন এলাকার মানুষ বড় কষ্টে আছে। তারা সবকিছু হারিয়েছে।
এ সময় নদী ভাঙন মানুষের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেন এমপি। তিনি আরও বলেন, সরাইল উপজেলার পানিশ্বরের এ জমি আর নদীতে ভাঙতে দেওয়া হবে না। শিউলি আজাদ বলেন, সরকার ভাঙ্গন প্রতিরোধে আন্তরিক।বর্ষা মৌসুম হওয়ায় এখন মেঘনার বিভিন্ন অংশে ভাঙন শুরু হয়েছে।
এ ভাঙন ঠেকাতে হবে।বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশও নদী শাসন করতে সক্ষম। ভাঙন থেকে রক্ষায় সরকার পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়ার প্রয়োজন।বর্ষা শেষেই চূড়ান্তভাবে নদীশাসনের কাজ শুরু করতে হবে। তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণ হলে, ভাঙ্গন থেকে পানিশ্বর এলাকা রক্ষা পাবে।
সে লক্ষে কাজ করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান এমপি। এ সময় নৌকায় নিয়ে ভাঙন এলাকায় সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. মোস্তাফিজুর রহমান,পানিশ্বর ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. দ্বীন ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো.আমজাদ হোসেন, পানিশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান মো.মোস্তাফিজুর রহমান (মিস্টার )পানিশ্বর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা সাজু, সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের সহ- সভাপতি কাজী আবিদউল্লাহ বাপ্পী,মো.জজ মিয়াসহ আওয়ামীলীগ যুবলীগ,ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেনীর লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ থাকে, বছর জুড়েই মেঘনার ভাঙনের কবলে থাকে উপজেলার পানিশ্বর এলাকা। তবে বর্ষা মৌসুমে ভাঙ্গন ভয়াবহ রূপ নেয়। গত কয়েক বছরের ভাঙ্গনের শত শত পরিবার নিঃস্ব হয়েছে। বিলীন হয়ে গেছে ফসলি জমি,২৩ টি চাতলকল হাট- বাজার। বর্তমানে হুমকির মুখে রয়েছে পানিশ্বর ইউনিয়নের বহু সরকারি- বেসরকারি স্থাপনা।