ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলা বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ (বিউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.সুমন হোসেন সরদার এর বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি ও সরকারের রাজস্ব আত্মসাৎ করেছে বলে ভিডিও বার্তায় প্রকাশ করেছেন সরাইল বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ এর অস্থায়ী নিয়োকৃত কর্মচারী মো. আলামিন মিয়া পিতা মো.রৌশন আলি গ্রাম নিজ সরাইল।নিজ অফিসের কর্মচারী এ অভিযোগ করেন।১৩ জুলাই মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগে সরাইল বিদ্যুৎ অফিসের গুমর ফাঁস; লুটেপুটে খাওয়া হচ্ছে সরকারের রাজস্ব টাকাও এমন একটি ভিডিও বার্তা ফেসবুকে আসে।
এ নিয়ে জনমনে উদ্যোগের কারণ হয়েছে এর কারণ হিসাবে অনেকে বলেন, কিছুদিন আগে পত্রিকার হেডলাইন খাম্বা চুরি হয়ে গেছে,আবার ট্রান্সফর্মার চুরি।বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার খেলা জনগণের দুর্ভোগ। তাই ৭০ বছরের রহিম মিয়া বলেন, আসলে সরাইল বিদ্যুৎ অফিস”এখন গোয়াল ঘরে ছাগল বন্দি?সরাইল পিডিবি’র বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের অস্থায়ী নিয়োগকৃত কর্মচারী আল আমীন অভিযোগ করেন, বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলীর চোখে ধূলা দিয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুমন হোসেন সরদার এখানে লুটপাটের রামরাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছেন। এখানকার বিদ্যুৎ অফিসের কয়েকজন স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মচারীদের নিয়ে তিনি এখানে শক্তিশালী গ্রুপ বানিয়েছেন।
তাদের নিয়েই তার যত অপকর্ম এখানে।উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুমন হোসেন সরদার এখানে বিদ্যুৎ গ্রাহকদেরই লুটছেন না, তিনি সরকারের রাজস্বের টাকাও মেরে খাচ্ছেন। আমাদের নির্বাহী প্রকৌশলী স্যার উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুমন স্যারকে খুবই বিশ্বাস করেন এবং তার ওপর সকল দায়িত্ব দিয়ে রেখেছেন; এই সুযোগে তিনি এসব লুটপাট করে যাচ্ছেন। এসবের তদন্ত আসলে তথ্য প্রমাণসহ আমরা উপস্থাপন করবো, সকল প্রমাণ আমাদের কাছে সংরক্ষণ আছে। এমন দাবি আল আমীনের।সরাইল বিদ্যুৎ অফিসের উচ্চমান হিসাব রক্ষক মো. ইমরান চৌধুরী মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন. মো. আলামিন এর ছোট ভাই এ অফিসে কাজ করতো বিদ্যুৎ দুর্ঘটনায় তার ভাই মারা গেলে।
আলামিনকে অস্থায়কৃত নিয়োগ দেওয়া হয় ঐ সময়। অভিযোগের ব্যপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন এমন একটা ভিডিও বার্তা আমি ফেসবুকে দেখেছি। আলামিন সুমন স্যারকে নিয়ে দুর্নীতি ও সরকারি রাজস্ব অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের কথা বলছে। তবে এ ব্যপারে কতোটা সত্য- মিথ্যা এরা জানে।এদিকে সরাইল বিদ্যুৎ অফিসে দুপুরে সরেজমিনে গেলে কর্মচারীদের মুখে বিভিন্ন আলোচনা – সমালোচনা। অনেকেই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, স্যারকে দেখা যায় অনেক ভাল মানুষ, সুন্দর ভাবে কথা বলে। তবে আলামিন সকল কথা ফাঁস করে দিয়েছে আরেক জন কর্মচারী বলে, যা কিছু করবেন সত্য একদিন বের হয়ে আসে।
এ অফিসের ফাইল কোথায় কার কাছে আসে আর যাইতে পারে আমরা কিছুই জানি না। তবে এখন দেখা যাবে অফিসের দুর্নীতি কে করে ? আর কারা এ সবের সাথে জড়িত ? সরাইল উপজেলা বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ বিউবো এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সুমন হোসেন সরদার ভিডিও বার্তার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি এ প্রতিবেদকে বলেন, ভিডিও আমি দেখেছি, সে এ অফিসের অস্থায়কৃত নিয়োগে কাজ করে।
সে অনেক আবদার করে না করে দিলে এসব মিথ্যা অভিযোগ করে। দেখেন সব ফাইল আছে।অভিযোগের বিষয়ে মো. সুমন হোসেন সরদার বলেন,এ ব্যাপারে যত অভিযোগ করেছে আমাকে নিয়ে সবই মিথ্যে। কাগজপত্র আছে ??সরাইল উপজেলা বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ বিউবো নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সামির আসাব বলেন, সুমন সাহেব এর সাথে কথা বলেন, এ ব্যপারে আমি কিছু জানিনা।