ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল- অরুয়াইল রাস্তা নয় যেন ‘মরণ ফাঁদ’, প্রতিদিনই উল্টে যাচ্ছে গাড়ি শ্রমজীবী ও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের নাম চুন্টা ব্রীজ হতে ভূইশ্বর পযর্ন্ত সড়ক। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি বড় বড় খানাখন্দে ভরা। সামান্য বৃষ্টি নামলেই তলিয়ে যায় রাস্তা। মাঝেমধ্যেই এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে উল্টে যাচ্ছে রিকশা, ভ্যান, অটোরিকশা। আটকে পড়ছে মালবাহী কাভার্ডভ্যান। ভাটি অঞ্চলের এলাকা হওয়ায় কয়েক লাখ লোক প্রতিদিন দুর্ভোগকে সঙ্গী করে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করলেও সড়কটি মেরামতে তেমন কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। এদিকে সরাইল উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, রাস্তাটির সংস্কার কাজের জন্য ( প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে) এখন টেন্ডার প্রক্রিয়ার কাজ চলছে।
আজ ১০ নভেম্বর সরেজমিনে প্রায় দুই মাইল সড়ক ঘুরে দেখা যায়, সড়কটির চুন্টা ব্রীজের নিচ এলাকা থেকেই বড় বড় গর্তের শুরু হয়েছে। এসব গর্তে বৃষ্টি হলে পানি জমে থাকে নিজের অজান্তেই অনেকে সেখানে পড়ে আহত হচ্ছেন। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে জামা কাপড়সহ সঙ্গে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র। এখন দুলা- বালু উড়তে দেখা যায়। এরপর থেকে পুরো সড়কজুড়েই একই অবস্থা।
সড়কটির চুন্টা ব্রীজের নিচ হতে ভৃইশ্ব বাজারে অন্তত ১০-১৫ জায়গায় একইরকম বেহাল দশার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এছাড়া ব্যস্ততম সড়কটির ভাঙা জায়গায় একপাশ থেকে গাড়ি আসলে অন্যপাশের গাড়িকে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এ সময় সৃষ্ট যানজট ও খানাখন্দের কারণে কর্মজীবী লোকজন সময়মতো অফিসে বা বিভিন্ন কাজে জেলা বা উপজেলায় পৌঁছাতে পারেন না এমন অভিযোগ অনেকের।
সিএনজি চালক রহিম বলেন,আমরা রাত দিন মরণকে সামনে নিয়ে গাড়ি চালাইতে হয়। কি বলব, আমরা কিছু চাই না শুধু এ সড়কের সংস্কার চাই। তিনি এ সময় বলেন, প্রতিদিন দুর্ঘটনার কথা আর বললাম না !! তবে প্রতিদিনই উল্টে যাচ্ছে গাড়ি!!
ষাট বছরের বৃদ্ধ আলফা মিয়া বলেন, সরাইল গিছিলাম দেখেন গাড়ি তেকে নাইমা গেলাম, জানের ডরে কোন সময় সিএনজি উল্ডাইয়া পইরা মরি। এইডা এখন আর রাস্তা না মরণের ফাঁদ। ব্রীজের নিচ তিক্তা ‘ফাঁকফাঁক’ দুলা শুধু বালু !!
সরাইল- অরুয়াইল সড়কের ব্যপারে জানতে চাওয়া হলে এ প্রতিনিধিকে, সরাইল উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মোছা.নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, সরাইল- অরুয়াইল সড়কের প্রায় দুই কি.মিটার( সাড়ে চার কোটি টাকার)কাজ এখন টেন্ডার প্রক্রিয়া আছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে সড়কের কাজ ধরা হবে।