ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইলে প্রায় ১২ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে অত্যাধুনিক মডেল মসজিদ। তবে এর নির্মাণ কাজের ধীরগতি নিয়ে অভিযোগ উঠেছে এখন রডে জং ধরেছে। কাজের সময়সীমা ১৮ মাস পার হয়ে গেলেও “ছবিতে যতটুকু”এর বেশি কাজ করতে পারেনি মেসার্স বিজনেস সিন্ডিকেট ইন্টারন্যাশনালও মোস্তফা কামাল নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা বলেন, সরকারের অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে সঠিকভাবে সঠিক সময় মসজিদে নির্মাণ কাজ শেষ করবে তানা কয়েক দিন পর পর একটু কাজ করে আবার বন্ধ হয়ে যায়। মালা মাল মাটি গড়া হইতেছে। দেখেন রডে এখন জং ধরেছে ।
সরকারি অফিসে আসা ও স্হানীর মুসল্লী হাফিজ উদ্দিন, রহিম মিয়াও মধু মিয়া বলেন, একসঙ্গে কাজ শুরু হওয়া অন্য উপজেলায় মসজিদ নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের উপজেলায় কাজের সময়সীমার আরও ছয়মাস বেশি পেরিয়ে গেলেও প্রথমতলার ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। তারা বলেন, পুরাতন মসজিদ ভেঙে ফেলায় তারা এখন জায়গায় নামাজ আদায় করছেন। ছোট জায়গায় শত শত মানুষের নামাজ আদায় কষ্টকর হয়ে পড়ছে। উপজেলাবাসী অধীর আগ্রহে আছে কবে নাগাদ এ মসজিদ নির্মাণ কাজ শেষ হবে।জানা গেছে, মোট ৫৬০টি দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করছে সরকার।
ধর্ম মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে এ কাজ বাস্তবায়ন করছে সরকারের গণপূর্ত অধিদফতর। তারই ধারাবাহিকতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলায় ২০১৯ সালের মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। উপজেলা পরিষদ চত্বরের পশ্চিম দিকে জায়গার ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে অত্যাধুনিক তিনতলা বিশিষ্ট এ মসজিদ।এ ব্যপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স বিজনেস সিন্ডিকেট ইন্টারন্যাশনালের মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন,করোনা সংকটে এমনটা হয়েছে। আরো অন্য সমস্যা ছিল এখন কাজের ১২ কোটি ২৪ লাখ টাকা করা হয়েছে। তিনি বলেন,সরাইল মডেল মসজিদের কাজ যৌথ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে। এখন কাজ করা হবে।কাজ চলবে এখন আর কোন সমস্যা হবে না।
আরও বছর খানেক সময় লাগতে পারে তবে আশা করছি ডিসেম্বরের শেষ দিকে কাজ শেষ হবে বলে তিনি জানান।।ব্রাহ্মণবাড়িয়া গণপূর্ত বিভাগ জানায়, সরাইল মডেল মসজিদ ওইসলামিক সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সটি। থাকছে নারী ও পুরুষদের পৃথক ওজু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা, লাইব্রেরি, গবেষণা ও দীনি দাওয়া কার্যক্রম, পবিত্র কুরআন হেফজ, শিশুশিক্ষা, অতিথিশালা, বিদেশি পর্যটকদের আবাসন, মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা, হজ যাত্রীদের নিবন্ধন, প্রশিক্ষণ ও ইমামদের প্রশিক্ষণসহ নানা ব্যবস্থা।
এছাড়া ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। এ মডেল মসজিদে একসঙ্গে ৯০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবে।এ প্রসঙ্গেব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গণপূর্ত বিভাগের (পিডব্লিউডি’র) সাব-এ্যাসিসটেন্ট প্রকৌশলী মো. মামুন এ প্রতিনিধিকে বলেন, এতোদিন বরাদ্দের টাকা ছিলনা ফান্ডে।এজন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ ধীরগতি ছিল। এজন্য সরাইল মডেল মসজিদের কাজ কম হয়েছে। তাছাড়া অন্যান্য উপজেলা গুলোতে মসজিদ নির্মাণের কাজ অনেক এগিয়েছে।
বরাদ্দের এখন আর সমস্যা হবে না। রডে জং এর বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ ধরা হবে বলে তিনি বলেন। উল্লেখ্য থাকে যে, সরাইল মডেল মসজিদ কাজের শুরু থেকে কাজের অনিয়ম নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে।