এ কেমন শত্রুতা মাছের সঙ্গে?গুলশা, শিং, কাতল, ব্রিকেট, রুই’সহ ইত্যাদি মাছ চাষের একটি পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের ঘটনা ঘটেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে ২২ লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ মঙ্গলবার ২৬ জুলাই উপজেলার শাহবাজপুর উত্তর ধীতপুর গ্রামে তার চাষকৃত পুকুরে এই বিষ প্রয়োগের ঘটনাটি ঘটেছে।
এ ঘটনায় স্থানীয় পুকুর পারের কয়েক জন সাংবাদিকদের বলেন, নজরুলের সংসারের আয়ের উৎস শুধুমাত্র এ পুকুর যা দিয়ে তার সংসার চলে। লাখ- লাখ টাকা তাদের এই পুকুরে মাছ চাষ করতে খরচ হয়েছে। তারা বলেন, এমন একটি ন্যক্কারজনক কাজের সাথে যারা জড়িত সে যেই হোক বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই আমরা। পুকুরের মালিক নজরুল ইসলামের ছেলে আব্দুল হাকিম সাংবাদিকদের বলেন,নিজ গ্রামে পুকুরে দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষ করে আসছিলেন।আমাদের এ পুকুর’সহ ৪ টি পুকুর রয়েছে। চারিদিকে পানি বাড়তে থাকায় অন্যান্য পুকুরের মাছ ও এই পুকুরে ছাড়া হয়েছিল। বর্তমানে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে আমার বাবা এক মামলার আসামি হওয়ায় বাড়িতে থাকতে পারেন না।
তাই আমরা ভাইয়েরাই এগুলোর দেখাশুনা করি। এ সময় সাংবাদিকদের নিকট এলাকার ৬ জনের নাম স্বীকার করে তিনি আরও বলেন, গতকাল রাত আনুমানিক ১ টার দিকে স্থানীয় ৬ জন ব্যক্তি আমাদের এই পুকুর পারে এসেছিল। আমার ভাই ও স্থানীয় একজন নিজ চোখে তাদের এখানে দেখেছে। তাদের নেতৃত্বেই পুকুরে বিষ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, আমাদের পুকুরের পাশেই তাদের একটি ফসলী মাঠ রয়েছে।
এর আগেও আমাদের পুকুরে যথেষ্ট পরিমাণে পানি থাকার পরেও তার জায়গার পানি আমাদের না জানিয়েই পুকুরে ছেড়ে দিয়েছিল যাতে সকল মাছ তার জায়গায়’সহ আশপাশে চলে যায়। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত করতে নানান কলাকৌশল অবলম্বন করেছেন এরা।
আব্দুল হাকিম আরও বলেন, মাছ চাষের টাকাতেই আমাদের সংসার চলে। এ ঘটনায় প্রায় ২০ থেকে ২২ লক্ষ টাকা আমাদের ক্ষতি হয়েছে। এ লোকসান সইবার মতো ক্ষমতা আমাদের নেই। আমরা ন্যাক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। পুকুর মালিক নজরুল ইসলামের স্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের এই পুকুরই সম্বল।
এ ঘটনায় আমরা এখন নিঃস্ব। আমি এটার বিচার চাই। মঙ্গলবার সকালে দেখতে পান শত্রুতা বসত পুকুরে বিষ প্রয়োগ করেছে। এতে ওই পুকুরে থাকা প্রায় কাতলা,গুলশা, ব্রিকেট,সিং,ও রুই মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এতে তাদের ২২ লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে সরাইল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মো. আসলাম হোসেন এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের ঘটনা শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ তদন্ত করছে।
অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’