কালকিনিতে সরকারি অনুমতিপত্র না থাকায় মাদারীপুরের হাফিজুর রহমান খান (যাচ্চু নানা),ডাঃ মাহাবুবুর রহমান খাঁনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ‘সার্বিক ফিলিং স্টেশনথ সড়ক বিভাগের সরকারি জমি ভরাট করে নির্মাণ কাজ করায় তা বন্ধ করে দিল স্থানীয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকালে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে জমি দখলের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশ প্রদান করেন। এসময় সার্বিক ফিলিং স্টেশন স্থাপনের জন্য বৈধ কোন কাগপত্রও দেখাতে পারেনি ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কালকিনি উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের দুই নং ওয়ার্ডের ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পূর্ব পাশে, বালিগ্রাম এলাকার এনামুল হক সরদারের কাছ থেকে গোপালপুরের ৪৫ নং মৌজায় ৫১ শতাংশ জমি মাদারীপুরের ডাঃ মাহবুবর রহমান খান ও হাফিজুর রহমান খান ক্রয় করেন। কিন্তু তাদের ক্রয়কৃত জমিতে যেতে হলে মহাসড়কের পূর্বপাশে গোপালপুর মৌজার ৩৯৯, ৪০০, ৪০১ নং দাগের সরকারি জমি অবস্থিত। যার মধ্যে ৩৯৯ ও ৪০১ নং দাগ রাস্তার পাশের খালের মধ্যে পড়েছে। ফলে তাদের জমিতে প্রবেশ করতে হলে সড়ক ও জনপথের সরকারি জমি ও খাল ব্যবহার করে যেতে হবে। সম্প্রতি ওই জমিতে মোঃ হাফিজুর রহমান খান (যাচ্চু নানা),ডাঃ মাহাবুবুর রহমান খান ‘সার্বিক ফিলিং স্টেশনথ নামের একটি তেলের পাম্প নির্মাণের কাজ শুরু করেন। কিন্তু ওই ফিলিং স্টেশনে মহাসড়ক থেকে সহজে যেতে খালের মধ্যে বালু ফেলে ভরাট করা হয়েছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসক জানতে পেরে বৃহস্পতিবার সকালে কালকিনি উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে সরকারি জমি অবৈধ ভাবে ব্যবহার না করার নির্দেশ প্রদান করেন। এতে ফিলিং স্টেশন নির্মাণ কাজ আটকে যায়।
ডিসির সঙ্গে থাকা কালকিনি উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মো. নাসিরউদ্দিন বলেন, ‘গোপালপুর বাজারের কাছেই সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সরকারি জমি ভরাট করে একটি তেলের পাম্প নির্মাণ করা হচেছ। বৃহস্পতিবার সকালে ডিসি স্যার নিজে সরেজমিনে গিয়ে তা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই বিষয়ে মাদারীপুর সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ডাসারের গোপালপুর বাজারের পাশে আমাদের সড়ক বিভাগের জমি নিয়মবর্হিভূত ভাবে বালু ফেলে একটি ফিলিং স্টেশনে ব্যবহারের জন্য ভরাট করা হয়ছিল। পরে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক পরিদর্শনে গিয়ে তা বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে, তিনি বলেন কেউ যদি সড়কের জমি ব্যবহার করতে চায়, তাহলে তার মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি নিতে হবে। তবে, সেটা অবশ্যই কোন পানি প্রবাহ বন্ধ অথবা অন্য কোন সমস্যা সৃষ্টি করে নেওয়া যাবে না।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড.রহিমা খাতুন বলেন, ‘আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে গোপালপুরে সরেজমিনে এসে দেখলাম একটি ফিলিং স্টেশন নির্মাণে জন্য রোডস এন্ড হাইওয়ের জায়গা ও সরকারি খাল ভরাট করেছে। এবং পেট্রল পাম্পের পারমিটের কোন কাগজ দেখাতে না পারায় বন্ধ করে দিলাম। যদি, পারমিশন করাতে পারে, তখন কাজ করবে।
এই বিষয়ে সার্বিক ফিলিং স্টেশনে কাজে দায়িত্বে থাকা মোঃ শাহিন হোসেন বলেন, মাদারীপুরের ডাঃ মাহাবুবুর রহমান খাঁন এবং মোঃ হাফিজুর রহমান খাঁন জমি ক্রয় করে প্যাট্রোল পাম্প নির্মান করছেন, তবে পাম্পের সকল কাগজ তৈরি হচ্ছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা, উপজেলা সহকারী (ভূমি) কমিশনার মোঃ সাইফুল ইসলাম, ভূমি অফিসের সার্ভের নাসিরউদ্দিনসহ অন্যরা।