প্রধান নিবার্হীর স্বাক্ষরীত কালেকশন সিটে প্রাপ্তী স্বীকার মর্মে পসবিদ উন্নয়ন সংস্থা‘র ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মোঃ তোফাজ্জল হোসেন গত শুক্রবার (২৫ মার্চ) দুপুরে মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাব কার্যালয়ে লিখিত সংবাদ সম্মেলনে জানান, পসবিদ উন্নয়ন সংস্থা‘র প্রধান নিবার্হী মোঃ আজাদ আলী‘র বিরুদ্ধে ১৬টি অভিযোগ এনে বিগত সময়ে সংবাদ সম্মেলন করি।
প্রত্যেকটি অভিযোগের সাথে তিনি যে দুর্নিতিবাজ তাহা ১০০% প্রমাণিত হয় এমন তথ্য ও প্রমান উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি। পসবিদ উন্নয়ন সংস্থা‘র প্রধান নিবার্হীর স্বাক্ষরীত কালেকশন সিটে প্রাপ্তী স্বীকার রয়েছে এবং সঞ্চয় আমি নিজে ও কর্মীদের দ্বারা মাঠ থেকে সংগ্রহ করেছি এবং পসবিদ কার্যালয়ে জমা করেছি।
এই মর্মে প্রধান নিবার্হী স্বাক্ষরীত কালেকশন সিট ও টাকা গ্রহনের প্রাপ্তী স্বীকার আমার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। ১৬টি অভিযোগের কোনো ১টিরও সঠিক উত্তর বা প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি যে পসবিদ উন্নয়ন সংস্থার প্রধান নিবার্হী দুর্ণীতিবাজ নয়। তিনি দুর্ণীতির নমুনা হিসাবে ডকুমেন্ট উপস্থাপন করে বলেন- ১৫০০জন সদস্য পসবিদে সঞ্চয় জমা করেছেন, বিনিময়ে ঋণ নিয়েছেন ৪৩৭জন সদস্য।
বাংলাদেশ ব্যাংক হতে তিনি ঋণ গ্রহন করেছেন ২ কোটি ২০ লাখ ৩৬ হাজার ৯৮১ টাকা, সদস্য সঞ্চয় বাবদ জমা রয়েছে ৫৭ লাখ ৫ হাজার ২শত টাকা (নভেম্বর ২০২২ এর তথ্য অনুসারে)। বিনিময়ে পসবিদ মাঠ পর্যায়ে সদস্যদের ঋণ দিয়েছে ৬৪ লাখ ৫০ হাজার ১ শত ৪টাকা।
কিন্তু ঋণ দেওয়ার পর ২ কোটি ১২লক্ষ ৯২হাজার ৭৭ টাকা (২১২৯২০৭৭) পসবিদের কোন একাউন্টে রয়েছে কি ? পসবিদের নামে ২টি একাউন্ট চলমান রয়েছে। প্রাইম ব্যাংক, শ্রীমঙ্গল ব্রাঞ্চ-হিসাব নং ২১৫০৩১৮০০৭৬৭৩, সর্বশেষ ব্যালেন্স ২৫ হাজার ৪ শত ৪টাকা ও এবি ব্যাংক লিঃ শ্রীমঙ্গল ব্রাঞ্চ হিসাব নং-৪১১৮১৬৯৪৮৭৪৩০ সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী সঞ্চয় রয়েছে ১ হাজার ২ শত ৩৫টাকা (১৪ ফেব্রুয়ারি-২০২৩ ইং তারিখের ব্যাংক ষ্টেইটম্যান্ট অনুযায়ী)।
সরকারী টাকা সদস্যদের ঘর তৈরির কাজে না লাগিয়ে নিজের কাজে ব্যবহার করা এবং গরীব সদস্যগণকে ঋণ প্রদানের আশ্বাস দিয়ে জমানো সঞ্চয় নিজ কাজে ব্যবহার করা এটা কি আইনবিরুদ্দ কাজ নয় ? এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ভুক্তভোগী‘র স্ত্রী মাহমুদা আক্তার পসবিদ উন্নয়ন সংস্থার শ্রীমঙ্গল ব্রাঞ্চের ক্রেডিট অফিসার মিনতি রাণী শীল, ক্রেডিট অফিসার অজিত ব্যুনার্জি, ক্রেডিট অফিসার টুইংকেল কর্মকার, তাহমিনা আক্তার প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে শেষ মুহূর্তে সময়ে পসবিদ উন্নয়ন সংস্থা‘র ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মোঃ তোফাজ্জল হোসেনসহ উপস্থিত ভুক্তভোগীদের সাথে যে কোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনার মুখোমুখি হতে হবে মর্মে আতঙ্কিত অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন। এজন্য যে পসবিদ উন্নয়ন সংস্থার প্রধান নির্বাহী একজন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি বলে ভীত। সম্মেলন শেষে জীবনের নিরাপত্তা জনিত কারণে ৯৯৯ ফোন করলে মৌলভীবাজার মডেল থানার পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।