শেরপুরের ছয় কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের এক শিশুর জন্ম দিয়েছেন এক প্রসূতি।গতকাল বুধবার বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে শেরপুর শহরের একটি বেসরকারী হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে শিশুটির জন্ম হয়।বর্তমানে মা ও শিশু উভয়েই সুস্থ আছেন।সদ্যপ্রসূত শিশুটির নাম রাখা হয়নি এখনও।প্রসূতির নাম শেফালী (২৮)।তিনি শ্রীবরদী উপজেলার দোহারপাড় এলাকার ইউনিয়নের সজল মিয়ার স্ত্রী।
এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃৃপক্ষ বলেন,বুধবার বিকাল তিনটার দিকে শেফালী হাসপাতালে ভর্তি হন।পরে বুধবার বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে ওই মা ছয় কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের একটি মেয়ে শিশুর জন্ম দেন।অস্বাভাবিক ওজনের শিশুর জন্মের খবর পেয়ে নার্স, চিকিৎসক হাসপাতালে ভিড় করেন।ওই শিশুটির বাবা মোঃ সজল মিয়া মুঠো ফোনে বলেন,আমি গাড়িতে বাড়ি ফিরছি।এটি আমাদের তৃতীয় সন্তান।
আমার আগের শিশুগুলো স্বাভাবিক প্রসবে পৃথিবীর আলো দেখে।ওই শিশুদের স্বাস্থ্যও ভালো ছিল।নিরাপদে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ায় আমি খুশি।শিশুটির মামা মোঃ সঞ্জু মিয়া বলেন,আমার বোন ও ভাগ্নী দুইজনেই সুস্থ আছে।ছয় কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের বাচ্চা এর আগে কখনও শুনিনি।এমস নবজাতকের খবর শুনে সবাই দেখতে আসছে।আমি খুবই আনন্দিত।
অ্যানাস্থেসিয়া চিকিৎসক ডা. মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন,এর আগে কখনও এতো ওজনের নবজাতক দেখেনি।শিশুটির ওজন হয়েছে ছয় কেজি ২০০ গ্রাম।যা গড় ওজনের চেয়ে অনেক বেশি।গর্ভবতী অবস্থায় ওই নারী সুষম খাবার খেয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।এর আগে তিনি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আরও দুই সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।