শেরপুর জেলার সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের মাঝপাড়া গ্রাম থেকে জরিনা বেগম (৪৫) নামে এক মানব পাচারকারীকে ১৮ জুলাই রোববার ১টার দিকে আটক করেছে সদর থানার পুলিশ। সেই সাথে মালা (১৩) নামে এক কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃত জরিনা বেগম সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের মাঝপাড়া গ্রামের জনৈক আব্দুর রহিমের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ জুন কিশোরী মালা বাড়ি থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হয়। এরপর অনেক সন্ধান করেও স্বজনেরা ওই কিশোরীর খোঁজ পাননি। পরবর্তীতে কিশোরীর স্বজনেরা গোপন সূত্রে জানতে পারেন, পাচারের উদ্দেশ্যে জরিনা ওই কিশোরীকে আটকে রেখেছেন।
পরে খবর পেয়ে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোফাখখির উদ্দিনের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স রোববার দুপুরে সদর উপজেলার মাঝপাড়া গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে প্রথমে জরিনা বেগমকে আটক ও তাঁর হেফাজত থেকে কিশোরী মালাকে উদ্ধার করেন।
এসআই মোফাখখির উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় আটক জরিনা বেগমের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে সদর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আটক জরিনা বেগম একটি সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য। বর্তমানে আটক জরিনা ও ভুক্তভোগী কিশোরী থানা হেফাজতে রয়েছে। পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত অব্যাহত রেখেছেন।
এব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনসুর আহাম্মদ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভুক্তভোগী কিশোরীর অভিভাবকের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই মানব পাচারকারী জরিনা বেগমকে আটক এবং তার কবল থেকে কিশোরী মালাকে উদ্ধার করা হয়েছে।