শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলাতে স্বামীর নিকট থেকে তালাকপ্রাপ্তা এক নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মো. মিজানুর রহমান (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত মিজানুর উপজেলার ভেলুয়া ইউনিয়নের শিমুলচূড়া গ্রামের আব্দুল মোতালেবের ছেলে। তিনি একজন মুদি দোকানি ছিলেন। ৮ আগস্ট রোববার রাতে উপজেলার শিমুলচূড়া আকন্দপাড়া গ্রামে খুনের ওই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ একজনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বিএ পাশ করার পর মিজানুর রহমান মুদি দোকানের ব্যবসা করতেন। প্রায় তিন বছর ধরে মিজানুরের বাড়ির অদূরে শিমুলচূড়া আকন্দপাড়া গ্রামের স্বামীর নিকট থেকে তালাকপ্রাপ্তা এক নারীর (২৩) সাথে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই নারীর পরিবারের পক্ষ থেকে মিজানুরকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হলেও তিনি বিয়ে করেননি। এ নিয়ে নারীর পরিবারের লোকজন ক্ষুব্ধ ছিলেন। রোববার রাতে বন্ধু বাবুল মিয়া মিজানুরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর মিজানুর ওই নারীর বাড়িতে গেলে তাঁর স্বজনেরা ক্ষুব্ধ হয়ে দেশিয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মিজানুরকে হাতে ও মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করেন। এসময় মিজানুরের ডাক-চিৎকারে প্রতিবেশী ও স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মিজানুরের বাবা আব্দুল মোতালেব অভিযোগ করে বলেন, রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাবুল নামে এক যুবক মিজানুরকে ডেকে নিয়ে যান। পরে রাত অনুমান ১১টার দিকে তিনি জানতে পারেন তাঁর ছেলেকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি থানায় হত্যা মামলা করবেন বলে জানান।
শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস সোমবার দুপুরে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে নিহতের লাশের মাথায় ও হাতে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতার মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তালাকপ্রাপ্তা এক নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মিজানুর খুন হয়েছেন। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বাবুল মিয়া নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) আফরোজা নাজনীন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।