শেরপুর জেলার সদর উপজেলার ধলা ইউনিয়নের পাঞ্জারভাঙ্গা উলাকান্দা গ্রামের ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ১৫ জুলাই বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে একই গ্রামের শাহীন (১৮) ও ফুরকান (২০) নামে দুই বখাটে যুবক অপহরণ করে একটি পতিত ধানের খেতে নিয়ে গিয়ে একাধিক বার জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।ধর্ষক যুবকদ্বয় হলো- শাহীন সদর উপজেলার পাঞ্জারভাঙ্গা উলাকান্দা গ্রামের হারেজ আলী ওরফে হাজীর ছেলে ও ফুরকান একই গ্রামের তমছের আলীর ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার পাঞ্জারভাঙ্গা গ্রামের ওই কিশোরী বৃহস্পতিবার রাতে তাদের বসতঘর থেকে বের হয়ে তার চাচা জনৈক সেলিমের টিউবওয়েলে পানি আনতে যায়। এসময় আগে থেকে উৎপেতে থাকা একেই গ্রামের প্রতিবেশী দুই বখাটে যুবক সম্পর্কে মামা শাহীন ও ফুরকার ওই কিশোরীকে এক পেয়ে মুখ চেপে ধরে অপহরণ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ী থেকে কিছু দুরে জনৈক নাজিম উদ্দিনের পতিত জমিতে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক একাধিক বার ধর্ষণ করে তাকে ফেলে রেখে যায়। পরে ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী রাত ১টার দিকে দৌড়ে একই গ্রামের জনৈক ইমরান হোসেনের বাড়িতে গিয়ে উঠে।
এদিকে ইমরান হোসেন রাতেই ভিকটিম কিশোরীকে তার বাড়ী পৌছে দেয়। পরে লোক লজ্জায় ভয়ে ধর্ষিত কিশোরীর বাবাসহ আত্মীয়-স্বজন বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে ওই ঘটনাটি ফাঁস হয়ে গেলে এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া ও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনসুর আহাম্মদ সঙ্গীয় ফোর্সসহ ১৬ জুলাই শুক্রবার দুপুরে ভিকটিম কিশোরীকে উদ্ধার করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ১৭ জুলাই শনিবার ওই ভিকটিম কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে।
এব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনসুর আহাম্মদ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সদর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং সেই সাথে ধর্ষক যুবকদের গ্রেফতার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।