ভোলায় শুক্রবার (৩ জুন) ২৫ টি কেন্দ্রে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠা হয়। পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করা ও সাথে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস থাকার কারণে ৫ পরীক্ষা থেকে পরীক্ষার হল থেকে বহিষ্কার করা হয় । বহিষ্কৃতরা হলেন লালমোহন উপজেলার ধলিগৌরনগর এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ উল্লাহ এর ছেলে ওমর ফারুক , তজুমদ্দিন উপজেলার ডায়রিয়ার পাড় এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ নাজমুল এর ছেলে হাবিবুর রহমান ও তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর এর বাসিন্দা মজিব উদ্দিন পাটোয়ারী এর ছেলে মোঃ সোহাগ । তারা পশ্চিম বাপ্তা আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজ এর পরীক্ষার্থী ছিলেন। উক্ত ব্যক্তিদের নিকট হতে মোবাইল ফোন ও সাদা কাগজে উত্তর পত্র লেখা নকলের কপি পাওয়া যায় । পরবর্তীতে কর্তব্যরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বোরহানউদ্দিন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুর রহমান তাদেরকে বহিস্কৃত আদেশ দেন এবং প্রত্যেককে ১০দিন করে কারাদণ্ড প্রদান করেন। অপরদিকে ভোলা সরকারি কলেজ কেন্দ্রে হতে আকলিমা বেগম নামের এক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে সাদা কাগজে হাতের লেখা উত্তর পত্র পাওয়া যায় । তিনি দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আবু তাহের এর মেয়ে । পরীক্ষার হলে অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে তাৎক্ষণিক পরীক্ষার হল থেকে তাকে বহিস্কার করার আদেশ দেন। উক্ত কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চরফ্যাশন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) জনাব আব্দুল মতিন খান। এছাড়াও আরো এক পরীক্ষার্থী ঘুইংগার হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে বহিষ্কার হয়েছেন । তিনি ভোলা সদর উপজেলার বাসিন্দা আবুল কালাম এর ছেলে মোহাম্মদ হাসান। তার কাছে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস মোবাইল পাওয়া যায়। কর্তব্যরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রয়া ত্রিপুরা তাকে বহিষ্কার করেন । প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এর ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা’র ৩য় ধাপে ভোলা ২৪৪ পদের জন্য পরীক্ষা দিয়েছেন ১৫ হাজার ৬ শত ৩৭ জন পরীক্ষার্থী। এ পরীক্ষাকে সুষ্ঠু এবং সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য ভোলা জেলা প্রশাসন ও জেলা শিক্ষা অফিস এর সমন্বয়ে কঠিন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন যাতে না করতে পারে সেজন্য ভোলার সকল ফটোকপি এবং কম্পোসের দোকান গতকাল থেকেই বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন এবং সকল পরীক্ষার্থীকে বারবার সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। উক্ত পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন রোধ এবং সুষ্ঠু ভাবে পরীক্ষা সম্পাদনে স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তর (এনএসআই) ভোলা কার্যালয় কর্তৃক পরীক্ষা কেন্দ্র সমূহ পর্যবেক্ষণ করে । জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) পরীক্ষার হল পর্যবেক্ষনের সময় অসদুপায় অবলম্বন কারীদের শনাক্ত করেন । তাদেরকে শনাক্ত করে দায়িত্বরত প্রশাসনের হাতে তুলে দেন । উল্লেখ্য বহিস্কৃত হাবিবুর রহমান তজুমদ্দিন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের ভাগ্নে বলে জানা যায়। তার মা একজন ইউপি সদস্য, তিনি পূর্বেও ভোলা শহরে চাকরির পরীক্ষায় অসদ উপায় অবলম্বন করার কারণে ইলেকট্রিক ডিভাইসসহ গ্রেফতার হয়েছিল বলে জানা যায়।