২০০৫ সালে শরীয়তপুর জেলা যুবলীগের সম্মেলন করা হয়েছিল।দীর্ঘ ১৬ বছরেও আর নতুন কমিটি করা হয়নি।এই ১৬ বছরে সংগঠনটির শীর্ষ পদে থাকা নেতারা আওয়ামী লীগের কমিটিতে চলে গেছেন।কেউ অন্য দলে,দেশের বাইরে ও সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বিল্লাল হোসেন দিপু বলেন,দীর্ঘদিন যাবৎ সম্মেলন না হওয়ায় নতুন নেতৃত্ব গড়ে উঠছে না।আর এ সুযোগে সুযোগ সন্ধানীরা সংগঠন বিরোধী নানা কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
সামনে নতুন কমিটি হবে,আমি সভাপতি হওয়ার জন্য তৎপর রয়েছি।এমন পরিস্থিতিতে জোরা-তালি দিয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।সংগঠনে গতিশীলতা আনতে ৫ অক্টোবর জেলা যুবলীগের বর্ধিতসভা ডাকা হয়েছে।ওই সভা ঘিরে যুবলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদ প্রত্যাশিদের তৎপরতা বেরেছে।পদ প্রত্যাশীরা বর্ধিত সভার দিন নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করতে শোডাউন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
শরীয়তপুর জেলা যুবলীগ সূত্র জানায়,২০০৫ সালে শরীয়তপুর জেলা যুবলীগের সম্মেলন করা হয়।ওই সম্মেলনে এমএম জাহাঙ্গীরকে সভাপতি,গোলাম মোস্তফাকে সহসভাপতি ও নুহুন মাদবরকে সাধারন সম্পাদক করে ৭১ সদস্যর কমিটি গঠন করা হয়।ওই কমিটির সভাপতি এমএম জাহাঙ্গীর ২০১৯ সালে পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সহসভাপতি গোলাম মোস্তফা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পান।
ওই কমিটির দুইজন বিএনপিতে,৫ জন দেশের বাইরে চলে গেছেন।আর মৃত্যুবরন করেছেন দুইজন।শরীয়তপুর সদরের আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে দুটি পক্ষ রয়েছে।একটি পক্ষর নেতৃত্বে আছেন বর্তমান সাংসদ ও আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ইকবাল হোসেন অপু।আরেক পক্ষকে নেতৃত্ব দেন সাবেক সাংসদ ও দলের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক।গত সংসদ নির্বাচনের সময় থেকে বিএম মোজাম্মেল হকের সমর্থিতরা স্থানীয় রাজনীতিতে কোনঠাসা হয়ে পরেন।তারা দলীয় কর্মসূচীতে অংশ নিতে পারেন না।
যুবলীগের বর্ধিতসভা ঘিরে বিএম মোজাম্মেল হক সমর্থিত সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা ও সাংসদ ইকবাল হোসেন অপুর সমর্থিতরা তৎপরতা শুরু করেছেন।সভাপতি হওয়ার জন্য তৎপরতা শুরু করেছেন শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র পারভেজ রহমান জন।সাংসদ ইকবাল হোসেন অপুর সমর্থিত পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাচ্চু ব্যাপারী,সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বিল্লাল হোসেন দিপু,শরীয়তপুর সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি তারিকুল ইসলাম সোহাগ।
আর বিএম মোজাম্মেল হক সমর্থিত ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাহাড়,সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন হাওলাদার।আর সাধারন সম্পাদ পদের জন্য তৎপরতা চালাচ্ছেন সাংবাদিক মোহাম্মদ জামাল মল্লিক,সাংসদের সমর্থক সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শহীদ কোতোয়াল,পাভেল মুন্সি,মেহেদী হাসান অনু।বিএম মোজাম্মেল হক সমর্থিত জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জসিম মাদবর।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক সিদ্দিক পাহাড় বলেন,আমাদের দাবী জেলা যুবলীগের সম্মেলন করে নতুন কমিটি করা হউক।নতুন নেতৃত্ব না আসলে দলে গতিশীলতা আসে না।সফলতার সাথে ছাত্রলীগ করেছি।যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পেলে সংগঠনকে অনেক গতিশীল করতে পারব।দ্রুত সময়ে যাতে সম্মেলন হয় এ জন্য তৎপর আছি।
সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বিল্লাল হোসেন দিপু বলেন,দীর্ঘদিন যাবৎ সম্মেলন না হওয়ায় নতুন নেতৃত্ব গড়ে উঠছে না।আর এ সুযোগে সুযোগ সন্ধানীরা সংগঠন বিরোধী নানা কার্যক্রম চালাচ্ছেন।সামনে নতুন কমিটি হবে,আমি সভাপতি হওয়ার জন্য তৎপর রয়েছি।
শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র পারভেজ রহমান জন বলেন,আমরা যারা তরুন তারা চাই যুবলীগের নতুন কমিটি করে নেতৃত্বে ও সংগঠনে গতিশিলতা আনা হোক।যুবলীগ করার আগ্রহের কথা কেন্দ্রীয় নেতাদের বলেছি।আমাদের প্রানপ্রিয় নেত্রী আমাকে মেয়র বানিয়েছেন।তিনি চাইলে যুবলীগের নেতৃত্বে যেতে পারব।
শরীয়তপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি এমএম জাহাঙ্গীর বলেন,নানা কারনে দীর্ঘদিন যাবৎ সম্মেলন করা যাচ্ছে না।তাই সাংগঠনিক সভা আহবান করা হয়েছে।কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চাইলে শিঘ্রই সম্মেলন করে নতুন কমিটি করতে পারেন।বর্ধিতসভা ঘিরে অনেকে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক হওয়ার তৎপরতা শুরু করেছেন।
জানতে চাইলে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য খালেদ শওকত আলী বলেন,যুবলীগের কমিটি ও কর্মিদের খোঁজ-খবর নেয়ার জন্য সারাদেশে সাংগঠনিক সভা করা হচ্ছে।শরীয়তপুরে দীর্ঘন যাবৎ কমিটির মেয়াদ নেই।বর্ধিত সভার পর সাংগঠনিক রিপোর্ট নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে।অনেকেই নতুন কমিটিতে নেতা হওয়ার জন্য তৎপর হয়েছেন।আমরা মানবিক যুবলীগ করব।তরুন পরিচ্ছন্নদের কমিটিতে স্থান দেয়া হবে।