শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুকুর থেকে এক করোনা রোগীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।শনিবার(২১ আগস্ট) সকালে এই লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।নিহত সোনা মিয়া ফকির জাজিরা উপজেলার পূর্ব আড়াচন্ডীর ঠাণ্ডার মোড় এলাকার বাসিন্দা।
জানা যায়,গত ১২ আগস্ট করোনা পজেটিভ সোনা মিয়া ফকিরকে ছেলে আব্দুর রহমান ফকির জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেলেক্সের করোনা ইউনিটে ভর্তি করেন।প্রতিদিনের মতন ১৬ আগস্ট দিবাগত রাত ১১ টার দিকে ছেলে আব্দুর রহমান বাবাকে ঔষধ পত্র খাইয়ে ঘুম পাড়ানোর জন্য শুইয়ে দিয়ে বাড়ি চলে যান।
কিন্তু ছেলে বাড়ি ফিরে রাতে একাধিকবার ফোন দিলে বাবা সোনা মিয়া ফকির ফোন রিসিভ করেন নি।পরদিন সকাল ৮ টার দিকে হাসপাতালে এসে পাননি।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করলে তারা জানান রোগীর স্বজনদেরই দেখে শুনে রাখার দায়িত্ব।বাবাকে না পেয়ে ১৭ আগস্ট ছেলে আব্দুর রহমান জাজিরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
নিহত সোনা মিয়া ফকিরের শরীরে ক্যানোলা পরানো ছিল।উদ্ধারকৃত লাশের কানে,হাতে,মাথায়,পিঠে কাটা চিহ্ন দেখতে পাওয়া গেছে।তবে অনেকের অভিযোগ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় পরিবারের লোকজন সোনা মিয়া ফকিরকে বাড়িতে উঠতে দেয়নি বলে আত্মহত্যা করতে পারে।
সোনা মিয়া ফকিরের ছেলে আব্দুর রহমান জানান,আমি প্রতিদিনের মতন বাবাকে ঔষধ পত্র খাইয়ে শুইয়ে বাড়ি চলে গেছি, রাতে তিনি ফোন রিসিভ না করলে সকালে এসে তাকে আমি পাইনি।আমার বাবাকে কে বা কারা খুন করেছে আমি জানি না।আমি সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক এই ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তি চাই,বিচার চাই।
জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেলেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মোঃ রোমান বাদশাহ বলেন,রোগী করোনা পজেটিভ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিল।১৬ আগস্ট রাত দেড়টা থেকে রোগীকে পাওয়া যাচ্ছিল না বলে আমাদেরকে নার্সরা অভিযোগ করেছেন।আমরা বিষয়টি থানা পুলিশকে জানিয়েছি।
আজ সকালে হাসপাতালের পূর্ব পাশের দেয়াল সংলগ্ন পুকুর থেকে ঐ রোগীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।এসময় তিনি বলেন কিছুদিন আগের বর্জপাতে হাসপাতালের সব কয়টি সিসি ক্যামেরা নষ্ট হয়ে গিয়েছে।লাশ উদ্ধারের বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নড়িয়া সার্কেল এস এম মিজানুর রহমান বলেন,লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখনও কোনো মামলা হয়নি।