অটোর সাথে এক বৃদ্ধ লোকের ধাক্কা লেগে পড়ে যায় স্থানীয় লোকজন অটো থামালে অটোচালক তাদের কাছে চলে যায়।তার কিছুক্ষণ পর দেশীয় অস্ত্র রামদা ও বোম নিয়ে তারা বাজারে মধ্যে আসে ৪টা দোকান ও আশেপাশের বাড়িতে হামলা চালায়।এতে কেউ হতাহত না হলেও দোকানের ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর করে এবং লুটতরাজের অভিযোগ আসে।গতকাল ১৩ ই অক্টোবর (বুধবার) রাত সাড়ে নয়টার দিকে শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের দপ্তরী বাড়ি বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার বাজারের ব্যবসায়ী বজলু রহমান চৌধুরী জানান,হঠাৎ তারা আসে বাজারের মধ্যে বোম ফুটায় এতে মানুষজন দৌড়াদৌড়ি করে বাজার ছেড়ে পালায়।মেজবা মৃধার ছেলে মাসুদ ও রাশেদ,আবুল সরদারের ছেলে আফজাল,ওহাব নক্তির ছেলে আহমদ আলী,আমির মৃধার ছেলে আরিফ মৃধা,দেলোয়ারের সারেং এর ছেলে হামিম আমার দোকানে এসে কোপ শুরু করে।
আমি একজনের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ধার আনছি বলে এবং আমার ক্যাশ বাক্স থাকা প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকা একটা এন্ড্রয়েড মোবাইল ও দোকানে থাকা দামি সিগারেট তারা নিয়ে যায়।আমার সাথে তাদের কোনো ব্যক্তিগত শত্রুতা নয় আমি তাদের বিচার চাই ও আমি আমার টাকা মালামাল ফেরত চাই।
মোসাম্মদ আয়েশা জানান,আমরা শুনতে পাইছি বাজারে বোমা ফুটতেছে এরপর আমরা ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘরের ভিতরে বসেছিলাম।কয়টা ছেলে এসে লাথি দিয়ে আমাদের ঘরের দরজা ভেঙে ফেলে।এতে আমি নাকে আঘাত পাই।ওরা জিজ্ঞেস করে ঘরে কোন লোক আছে কিনা আমি না করলে তারা চলে যায়।
অভিযুক্ত আবুল সরদারের ছেলে আফজাল সরদার জানান,আমাদের যাদের নাম বলা হয়েছে ওই দিন আমরা কেউ ছিলাম না।তাদের সাথে আমাদের তেমন কোন ঝামেলা নাই।তবে নির্বাচনী একটা ঝামেলা চলতাছে তাদের সাথে আমাদের।সামনে নির্বাচন তাই তারা এই ধরনের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাদের এলাকায় না থাকার জন্য অভিযোগ করছে।যাতে আমরা এলাকার বাইরে থাকি।
গোসারহাট থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মোহাম্মদ আবু বক্কর মাতব্বর বলেন,গতকাল রাত্রে দপ্তরী বাড়ি এলাকার বাজারে বোমা হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে গোসাইরহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিদর্শন করে।আর আজকে সকালে ওইখান থেকে দুইটা ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে।এখনও কেউ কোন অভিযোগ নিয়ে আসে নেই যদি কেউ অভিযোগ নিয়ে আসে তবে আমি আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।