কুমিল্লায় র্যাব পরিচয়ে সিএনজি অটোরিকশা ছিনতাই করার পর জিপিএস ট্র্যাকিংয়ে অবশেষে ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ এবং উদ্ধার করা হয় ছিনতাই হওয়া সিএনজি। বুধবার (১৮ জুন) এমন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশের সার্কেল এডিশনাল এএসপি খায়রুল জানান, গত ১৫ জুন পদুয়ার বাজার থেকে ভুশ্চি-বাঙ্গড্ডা সড়কে সিএনজি অটোরিকশায় যাত্রীবেশে ওঠেন আল মাহফুজ হৃদয় নামের একজন। পথিমধ্যে চালকের সাথে আলাপকালে চালক মনির হোসেনকে র্যাব-১১ কুমিল্লা শাকতলার গোয়েন্দা অফিসার হিসেবে পরিচয় দেন। এক পর্যায়ে তিনি সরকারি বাহিনীর ডিউটি করেছেন কিনা চালকের কাছে জানতে চান এবং তার মোবাইল নম্বরটি সংগ্রহ করে নিয়ে যান। মঙ্গলবার (১৭ জুন) সন্ধ্যায় আল মাহফুজ ওই চালককে কল করে পরদিন মিয়াবাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান আছে বলে কুমিল্লা জাঙ্গালিয়া বাস স্ট্যান্ডে আসতে বলেন এবং চালকের সাথে দু’হাজার টাকায় ভাড়া চুক্তি হয়।
বুধবার (১৮ জুন) চালক মনির হোসেন জাঙ্গালিয়া বাস স্ট্যান্ড থেকে আল মাহফুজকে নিয়ে মিয়াবাজার যাওয়ার পথে শুয়াগাজি বাজার নামক স্থানে পৌছালে আল মাহফুজ মোবাইলে অন্যের সাথে কথা বলে অন্য জায়গায় আকস্মিক অভিযানের কথা বলে গাড়ি ঘুরিয়ে রাজেশপুর ইকোপার্কে নিয়ে যায়। এরপর সহযোগীদের নিয়ে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চালককে দুটি গামছা দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে অটোরিকশা নিয়ে চলে যায় আল মাহফুজ হৃদয়।
চালক মনির হোসেন বলেন, “বৃষ্টির মধ্যে অন্ধকারে গাছের সাথে বেঁধে রাখা অবস্থায় আধা ঘণ্টা চেষ্টার পর বাঁধন খুলতে সক্ষম হই। পার্শ্ববর্তী এক বাড়িতে সহযোগীতা না পেয়ে দেড় কিলোমিটার দূরে একটি বাড়ারে গিয়ে গাড়ির মালিক আমার বড় ভাইকে কল করে ছিনতাইয়ের ঘটনা জানাই। তিনি তাৎক্ষণিক গাড়ির সেল সেন্টারে কল দিয়ে তারা গাড়িতে থাকা জিপিএস ট্র্যাক করে গাড়ির অবস্থান নির্ণয় করেন। সাথে সাথে হাইওয়ে পুলিশের মোবাইল টিমকে জানালে চৌদ্দগ্রামে মহাসড়কের ডলি রিসোর্টের সামনে থেকে গাড়িসহ কথিত র্যাবের গোয়েন্দা শাখার অফিসার আল মাহফুজকে আটক করে।”
মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার ওসি সাহাবুদ্দিন জানান, “ছিনতাইকারী আল মাহফুজের নামে রংপুর ও কুমিল্লায় দু’টি মামলা রয়েছে। তাকে প্রধান আসামি করে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।’