অর্থের বিনিময়ে ভোটের রেজাল্ট শীটে গড়মিল করে ভোট গণনায় কারচুপির মাধ্যমে পরাজিত করার অভিযোগ এনেছেন এক প্রার্থী। ভোট পুনঃগণনা করে সত্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে অনিয়ম ও দূর্নীতিকারী প্রিজাইডিং অফিসারের বিচারের দাবী করেছেন তিনি। চতুর্থ ধাপে ইউপি নির্বাচনে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউপির সংরক্ষিত নারী প্রার্থী মোছাঃ রেহেনা বেগম শনিবার (১জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ৪ টায় ইউনিয়নের খালিশা চৌধুরীপাড়ার নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তোলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, এ ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে বেসরকারীভাবে বিজয়ী ঘোষনা করা হয় হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী রেজেকা বেগমকে। তিনটি কেন্দ্রে তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ১৩৪০ টি। তাঁর চেয়ে ১৩ ভোট কম দেখিয়ে আমার তালগাছ প্রতীক পারাজিত ঘোষণা করা হয়েছে।
কিন্তু রেজাল্ট শীটে দুটি কেন্দ্রে উপস্থিত ভোটার ও কাস্ট ভোটের হিসেব গড়মিল রয়েছে। কেন্দ্র দুটিতে উপস্থিতের চেয়ে ২১ টি ভোট কম কাস্ট দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে খালিশা বেলপুকুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১৩ ও ডাঙ্গাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৮ টি। তিনি অভিযোগ করেন, কেন্দ্র দুটির প্রিজাইডিং কর্মকর্তার যোগসাজশে কারচুপির মাধ্যমে তাঁকে পরাজিত করা হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে অনিয়ম ও দূর্নীতি করে তাকে বিজয়ী দেখিয়েছেন তারা।
তাই তিনি ভোট পুনঃগণনার দাবি জানান। এ সময় তার নির্বাচনী পোলিং এজেন্টসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ওই দুটি কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন সৈয়দপুর বিএম কলেজের অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান ও একই প্রতিষ্ঠানের প্রভাষক লুৎফর রহমান। তাঁদের বিরুদ্ধে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে ব্যালট পেপারে অবৈধভাবে সীল মারার ক্ষেত্রে সহযোগীতার অভিযোগও রয়েছে।