বাগেরহাটের শরণখোলায় রাত পোহালে ভোট।২০ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা চলবে ভোট গ্রহন।উপজেলার চারটি ইউনিয়নের মধ্যে ধানসাগরে চেয়ারম্যান পদে এবং বাকিগুলিতে ওয়ার্ড সদস্য পদে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।তবে ধানসাগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের শুধুমাত্র সদস্য পদে হাইকোর্টে মামলার কারনে (১৯ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে নির্বাচন সুষ্ঠ করতে উপজেলা নির্বাচন অফিস ও উপজেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করেছে।স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে একজন জুডিসিয়াল ও তিনজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নের্তৃত্বে বিজিবি,র্যাব,পুলিশসহ আনসার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে।রবিবার সকাল থেকে ব্যালট,বাক্সসহ নির্বাচনী মালামাল সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসারের নিকট বুঝিয়ে দেয়া হছে।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার অঞ্জন সরকার জানান,চারটি ইউনিয়নে ৪১ টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন চলবে।৯১ হাজার ১২৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।তবে উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে জামাল আহম্মেদ নামের এক ব্যাক্তির প্রার্থীতা বাতিল হওয়ায় তিনি হাইকোর্টে মামলা করেন।
এ সংক্রান্ত জটিলতার কারনে রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে নির্বাচন কমিশনের এক পত্রের মাধ্যমে ওই ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচন স্থগিত ঘোষনা করা হয়েছে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাতুনে জান্নাত জানান,ইউপি নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।আশাকরি কোন সমস্যা হবেনা।
শরণখোলা উপজেলার চারটি ইউনিয়নের মধ্যে ইতোমধ্যে তিনটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নৌকার প্রর্থী বিজয়ী হয়েছেন।শুধুমাত্র ধানসাগর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের নৌকার প্রার্থী মাইনুল ইসলাম টিপু ও আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মহিম আকনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দিতা পূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।ওই দুই প্রার্থী সম্পর্কে আপন চাচাতো ভাই।