ভোলা বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বুধবার (১৭ মার্চ) রাত আনুমানিক ১টা ৩০ মিনিটের সময় ওএমএস খাতের চাউল সাধারণ মানুষকে না দিয়ে রাতের আঁধার ৫৮ বস্তা চাউল নিয়ে যাওয়ার সময় জনতার হাতে-নাতে ধরা খেলেন টবগী ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক ডিলার শাহে আলম ওরফে নয়া মেম্বার, বর্তমান ডিলার সেলিম এবং সহযোগী হিসেবে ছিলেন নুরনবীর পাটোয়ার সুমন সহ অনেকেই।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করে ১ কেজি প্রতি ২৫ টাকা ভুর্তিকি দিয়ে ১০ টাকা কেজিতে বাংলাদেশের সকল ইউনিয়ন পরিষদের এক যোগে চাউল বিতরণ করা নির্দেশ দেন। আর সেই চাউল রাতের আঁধারে নছিমন দিয়ে অন্যথায় নিয়ে যাওয়ার সময় হাতেনাতে ধরে।
স্থানীয়রা বলেন রাতের আঁধারে কার্ডের চাউল চুরি করতে হবে কেন ? যদি চুরি না করে তাহলে সাধারণ মানুষের কার্ডের চাউল দিনের বেলায় নিবে। চাল নিচ্ছে রাতের আধারে তা ও আবার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানে না এই ওএমএস কার্ডের চাউল সম্পর্কে। আর এই কার্ডের মালিক কারা তাদের প্রত্যেকের নামের তালিকা প্রকাশ করা হউক তারা এমনটাই দাবী করেন। তারা আরও বলেন বিগত দিনগুলোতে এইভাবে কত চাউল রাতের আঁধারে সরিয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বের করা হউক। এমনটাই প্রত্যাশা করেন টবগী ইউনিয়নের স্থানীয় লোকজন। নয়া মেম্বার ও বর্তমান ডিলার সেলিম এর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তারা বিষয়টি এড়িয়ে যান। এই ব্যপারে তারা কথা বলতে চাননা।
টবগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হাওলাদার জানান, নয়া মেম্বার ও বর্তমান ডিলার সেলিম তারা রাতে আঁধারে অন্য এলাকার ভাড়া করা নছিমন এনে ইউনিয়ন পরিষদের চাউল সড়ানোর সময় গোপন সূত্রে জানতে পারি এবং ঘটনা স্থলে দ্রুত চলে যাই। গিয়ে দেখি তারা নসিমনে বেশির ভাগ বস্তা তুলেছে রাত অনেক হওয়ার কারণে আমি বিষয়টা নিয়ে বারাবাড়ি করিনি। এটা সাধারণ মানুষের কার্ডের চাউল, এই চাউলের মালিক সাধারণ মানুষ।
আমি ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেখি নামে বেনামে অসংখ্য কার্ড এছাড়াও একজন ৯ টা কার্ডের মালিক কিভাবে হয় ? এই রকম অসংখ্য কার্ড আছে। আমি এই ব্যপারে উপরোক্ত কর্মকর্তাদের সাথে একাধিকবার কথা বলেছি। প্রয়োজনে লিখিত অভিযোগ করবো। আমি টবগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমি নিজেও দুর্নীতি করিনা এবং কাউকেও করতে দিবো না।