রাজবাড়ী জেলার গেদার বাজার এলাকায় পদ্মানধীর পাড়ে প্রেমিকের সাথে ঘোড়াফেরা করতে গিয়ে লালসার শিকার হওয়া এক প্রেমিকা পদ্মা নদীতে ঝাপ দিয়ে নিচের সম্ভ্রম রক্ষা করেছে।স্থানীয়দের উদ্ধার তৎপড়তায় প্রাণে বাঁচলেও তাকে অসুস্থ অবস্থায় তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় সোমবার সকালে ওই ছাত্রী বাদী হলে প্রেমিক মোঃ ইব্রাহিম খলিল (১৭) এর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে শিশুকে যৌনপীড়ন করার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেছে।মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ প্রেমিক ইব্রাহিম খলিলকে গ্রেপ্তার করেছে।ইব্রাহিম খলিল রাজবাড়ী জেলা শহরের শ্রীপুর নোয়াখালী পাড়ার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।
ওই ছাত্রী জানায়,সে রাজবাড়ী জেলা শহরের একটি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী।৬ মাস পূর্বে তার সাথে ইব্রাহিম খলিলের পরিচয় হয়।ওই পরিচয়ের সূত্র ধরে তারা মুঠোফোনে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পরে।করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘ দেড় বছর পর স্কুল খোলে গত রবিবার।ওই দিন দুপুর ১টার দিকে তার স্কুলের সামনে আসে ইব্রাহিম।
এরপর তারা জেলা শহরের গোদার বাজার সংলগ্ন পদ্মা নদীর তীরে ঘুরতে যায়।এক পর্যায়ে নদী তীরে থাকা মোস্তফার ইটভাটার পূর্ব পাশের নির্জন স্থানে তাকে নিয়ে যায় ইব্রাহিম এবং সেখানে তার সাথে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়ার পাশাপাশি তার শরীরে হাত দেয়।নিষেধ করার পরও ইব্রাহিম আরো বেশি মরিয়া হয়ে ওঠে।
এক পর্যায়ে সে ইব্রাহিমের হাত থেকে রক্ষা পেতে দৌড়ে পদ্মা নদীতে গিয়ে ঝাপ দেয়।ওই সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে।তবে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসা হয়।তবে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা সেবা গ্রহণের করার নির্দেশ দেয়।
রাজবাড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন,আসামী ইব্রাহিম খলিলকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।