রংপুরের মিঠাপুকুরে ধর্ষণের শিকার হয়ে অপবাদ সইতে না পেরে ষষ্ঠ শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রী আত্নহত্যা করেছে।আর এ দুঃখজনক ঘটনাটি ঘটেছে মিঠাপুকুর উপজেলার ৩নং পায়রাবন্দ ইউনিয়নের পুর্ব জয়রামপুর আনোয়ার গ্রামে ২৬সেপ্টেম্বর দুপুরে।নির্যাতিতা ওই ছাত্রী বাড়ীর লোকজনের অগোচরে বিষপানে গুরুত্বর অসুস্থ্ হয়ে পড়লে স্বজনরা তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে।এঘটনায় রংপুর মেট্রোপলিটন থানায় একটি ইউডি মামলা হলে পুলিশ ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধার ও সুরতহাল করে ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।পরে ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ দাফনের জন্য স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হলে পারিবারিক কবরস্থানে রাতেই তার দাফন করা হয়।

পুলিশ ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নের পুর্ব জয়রামপুর আনোয়ার গ্রামের রিক্সাভ্যান চালক মনছুর আলীর মেয়ে জান্নাতী আক্তার সাথী (১২) দাখিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।প্রতিবেশি মতিয়ার রহমানের বখাটে ছেলে মোঃ লাবলু মিয়া ওরফে লয়েট (২০) প্রায় সময় ওই ছাত্রীকে বাড়ীর আশেপাশে এবং রাস্তায় উত্যক্ত করত।

ঘটনাটি ছাত্রীটি তার বাবাকে জানায়।তার বাবা বখাটে ছেলে ও বাবা-মাকে জানান।পরবর্তীতে এমন কাজ না করার জন্য সতর্ক করেন।এতে বখাটে যুবক লাবলু মিয়া ওরফে লয়েট ক্ষুদ্ধ হয়ে গত ১সেপ্টেম্বর দুপুরে সে ওই ছাত্রীকে কৌশলে একটি ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে জোরপুর্বক ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে।

এসময় ছাত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে গেলে ধর্ষক পালিয়ে যায়।এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা মনছুর আলী বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় মামলা করেছেন।পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষককে গ্রেপ্তারও করেছে।বর্তমমানে সে জেলহাজতে রয়েছে।এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়,জান্নাতী আক্তার সাথী কয়েকদিন আগে ভাংনী নাটাগাড়ী গ্রামে বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে যায়।সেখানে শনিবার রাতে বিষপান করে।

গুরুতর অসুস্থ্ অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া বিরাজ করছে।মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান বলেন,ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের ব্যাবস্থা হয়েছে।প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।