যানজটে নাকাল হয়ে পড়েছে যশোরের অভয়নগরবাসী।যশোর-খুলনা মহাসড়কের চেঙ্গুটিয়া বাজার থেকে নওয়াপাড়া বাজার পর্যন্ত যানজট মারাত্মক অবস্থা ধারণ করেছে।প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত লেগে থাকে যানজট।ক্রমাগত যানজট লেগে থাকায় ব্যবসায়ী,ক্রেতা ও নাগরিক জীবনে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।এ যানজট নিরসনে স্থানীয় ট্রাফিক পুলিশের ব্যর্থতা ও কর্তব্যে অবহেলাকেই পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীসাধারণ দায়ী করছেন।
এ সড়কের ওপর দিয়ে দেশের ঢাকাসহ প্রায় ১৭টি রুটে থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী ও অসংখ্য মালবাহী যানবাহন চলাচল করে থাকে।যানজটের পেছনে আরও একটি বড় কারণ হচ্ছে অবৈধ ব্যাটারিচালিত ভ্যান,মাহেন্দ্র,ইজিবাইক ও নছিমন।এসব সড়কে চলাচলকারী অবৈধ এসকল যানবাহন বন্ধ করা না গেলে যানজট নিরসন সম্ভব নয়।এছাড়া যানজটের অন্যতম কারণ হল প্রধান সড়কের উপর দাড়িয়ে ট্রাকগুলি পণ্য ওঠানামাসহ অকারণে পাকিং করে থাকে।
এছাড়া প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চেঙ্গুটিয়া বাজার থেকে নওয়াপাড়া বাজার পর্যন্ত প্রধান সড়কের পাশে বিভিন্ন সার-কয়লা-বালির ড্যাম্পে লোড-আনলোডসহ ব্রীজ স্কেলগুলোতে দীর্ঘ ট্রাকের সারি এ যানজটের অন্যতম কারণ।অবৈধ যানবাহন ও বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অতিরিক্ত গাড়ি বিশৃঙ্খলভাবে চলাচলের কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়।তবে যাত্রীসাধারণ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এ যানজটের জন্য হাইওয়ে পুলিশের দায়িত্বে অবহেলা ও উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন।
বাসচালক হারুণ মিয়া,ট্রাক চালক মতিয়ার অভিযোগ করেন-দীর্ঘ যানজটের কারণে অনেক সময় নষ্ট হয় এবং জরিমানা গুনতে হয়।এতে তাদের পরিবহনে প্রতিনিয়ত লোকসান গুনতে হচ্ছে।যাত্রীবাহী পরিবহনের নিয়মিত যাত্রী মোঃ ফারুক মাস্টার, ব্যবসায়ী রফিক ও ছাত্রী নুসরাত জাহান জানান,একে তো খারাপ রাস্তা,তার ওপর প্রচন্ড গরমের মধ্যে দীর্ঘ যানজটে বসে থেকে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছি।
তাদের দাবি,হাইওয়ে পুলিশ যদি তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতেন,তাহলে প্রতিদিন এমন যানজট লেগে থাকতনা।এছাড়া এলাকাবাসী কায়েস,হামিদ,সিরাজ বলেন-অভয়নগর উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা রাস্তার উপর অবৈধ পার্কিং ও প্রধান সড়কের পাশে অবস্থিত কয়লা-সার-বালির ড্যাম্প উচ্ছেদে বলিষ্ট ভূমিকা রাখার জন্য যানজট নিয়ন্ত্রণে ছিল যা বর্তমানে দেখা যাচ্ছেনা।
যানজট নিরসনের বিষয়ে অভয়নগর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন,যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আমরা বেশিরভাগ সময় সড়কে অবস্থান করি এবং যানজট নিরসনে নিরলস চেস্টা করে যাচ্ছি।অভয়নগর উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি) তানজিলা আক্তার বলেন,আমি বিষয়টি দেখব।অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুর রহমান বলেন-আমি ট্রেনিং এ আছি,বিষয়টি আমার জানা নেই।