যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় কলেজ শিক্ষক স্বামীর পরকীয়ায় অভিমান করে দেড় বছর বয়সী একমাত্র কন্যা সন্তান কথাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর অস্তঃসত্ত্বা মা পিয়া মন্ডল(২৩) আত্মহত্যা করেছে।চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল ৭ আগস্ট (শনিবার) সন্ধ্যায় উপজেলার কুলটিয়া গ্রামে।স্থানীয় থানা পুলিশ রাত ৯.০০ টায় লাশ উদ্ধার করে আত্মহত্যা প্ররোচনার দায়ে ঐ মহিলার কণার মন্ডলকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।
জানা যায়,উপজেলার কুলটিয়া ইউনিয়নের সুজাতপুর গ্রামের ননি মন্ডলের ছেলে মশিয়াহাটি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক কণার মন্ডলের সাথে পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয় অভয়নগর উপজেলার দত্তগাতী গ্রামের ভগিরত মন্ডলের মেয়ে পিয়া মন্ডলের।বিয়ের পর কনার মন্ডল স্ত্রীকে নিয়ে কুলটিয়া বাজারের পাশে ফাল্গুন মন্ডলের দোতলা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন তারা।
পিয়া মন্ডলের দাদু কমলেশ মন্ডল বলেন,কণার মন্ডল এলাকার এক মহিলার সাথে পরকীয়া সম্পর্কে রয়েছে।বিষয়টি নিয়ে কণার এবং পিয়ার মধ্যে প্রায় ঝগড়া হতো।পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় কণার মন্ডল প্রায়ই পিয়াকে মারপিট করতো।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,শনিবার সকালে কনার তার স্ত্রীর সাথে ঝগড়ায় হয়।
তাদের ধারনা স্বামীর উপর অভিমান করেই মেয়ে কথাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ঘরের সিলিংয়ের হুকের সাথে ঝুলে নিজেও গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন অন্ত:সত্ত্বা পিয়া মন্ডল।এ বিষয়ে মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন,খবর পেয়ে মা-মেয়ের মৃত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।এ ঘটনায় স্বামী কণার মন্ডলকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি,তবে মামলা পক্রিয়াধীন ।