যশোর সদর উপজেলায় বসুন্দিয়া, নড়াইল রোড কেফায়েত নগর গ্রামে হাসান আলী, বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় সাইনবোর্ড বিহীন মাহাবুবুর রহমান নামে ঢাকা থেকে আগত হঠাৎ এক এমবিবিএস (এমডি) ডাক্তার ও হোমিওপ্যাথিক “বিএইচএমএস” (এমডি), ডাক্তারের আবির্ভাব ঘটেছে। রোগী দেখার স্থানটিতে কোন প্রকার সাইনবোর্ড না থাকলেও প্রেসক্রিপশন প্যাডে দেশ-বিদেশের উচ্চ ডিগ্রিধারী তিনি।
বড় বড় ডিগ্রি ব্যবহার করে স্কিন ডিজিজ, সেক্স, (মেডিসিন স্পেশালিস্ট) প্যারালাইসিস, রিউমেটিক, কিডনি স্টোন, ব্রেস্ট টিউমার, রেকটাম ক্যান্সার, পাইলস, ফিটছুলা, পলিপাস, মা ও শিশু চিকিৎসা সহ বিভিন্ন রোগে চিকিৎসা দিচ্ছেন তিনি।আর তার এই কাজে সহযোগিতা করছেন স্থানীয় একটি দালাল চক্র, তার বিনিময়ে তারা পাচ্ছে ডাক্তারের ফিস ৫০০ টাকার থেকে কমিশন।
কয়েকজন ভুক্তভোগী রোগী জানান ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন লেখা ঔষধ সারা বাজার খুঁজেও পায়নি তারা। অধিকাংশ ঔষুধ বাজারে নেই বললেই চলে।এছাড়া ঔষধ যোগাড় করে দেওয়ার কথা বলে রোগীর নিকট থেকে ৩০০০ – ৪০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত, হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে চিকিৎসক মাহাবুবুর রহমান নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার “এমবিবিএস” (এমডি) “বিএইচএমএস” (এম ডি) ইন্ডিয়া থেকে ও “ডিএইচ এমএস” এর উপর ঢাকা থেকে কোর্স করা, তার কাছে সনদপত্র দেখতে চাইলে দেখাতে পারেননি তিনি । তবে ২০১১ সালে ডিপ্লোমা ইন প্যারামেডিক এর একটি সনদপত্র দেখিয়েছেন।এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন মোঃ শাহীন বলেন, এমন কোন ডাক্তার আছে কিনা আমার জানা নেই, প্রকৃত পক্ষে তিনি ডাক্তার কিনা বিষয়টা খতিয়ে দেখা হবে।