1. bpdemon@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
  2. ratulmizan085@gmail.com : Daily Kaljoyi : Daily Kaljoyi
ময়মনসিংহে যক্ষ্মারোগ বিষয়ে সচেতনতা মূলক মতবিনিময় সভা
বাংলাদেশ । মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ।। ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ময়মনসিংহে যক্ষ্মারোগ বিষয়ে সচেতনতা মূলক মতবিনিময় সভা

কামরুল হাসান :
  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০২৩
  • ৩৭৯ বার পড়েছে

বিনিয়োগ করি যক্ষ্মা নির্মূলে, জীবন বাঁচাই সবাই মিলে” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে বিনামূল্যে যক্ষ্মার পরীক্ষা ও যক্ষ্মারোগের চিকিৎসাসহ বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষজনের সাথে সেমিনার করে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব)।

আজ বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ তারিখ বিকালে ময়মনসিংহ নগরীর উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী এর মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) এর উদ্যোগে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষকদের সাথে যক্ষ্মার পরীক্ষা ও যক্ষ্মারোগের চিকিৎসাসহ বিভিন্ন ধরনের সচেতনতা মূলক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উক্ত মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) এর ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি এডভোকেট শমসের আলী এর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) এর জেলা প্রতিনিধি মো. কামরুজ্জামান এর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. পরীক্ষিত কুমার পাড়।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক এর প্রোগ্রাম অফিসার মো. জাহিদুর রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) এর কমিনিউকেশন অফিসার বিচিত্র চন্দ্র দাস, বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) এর ফিল্ড অফিসার রবিউল ইসলাম প্রমূখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডেপুটি সিভিল সার্জন বলেন, যক্ষ্মা একটি প্রাচীন ঘাতক ব্যাধি। প্রতি বছর বাংলাদেশে বহু লোক এ রোগে মৃত্যুবরণ করে। পূর্বে এ রোগের চিকিৎসা ছিল না কিন্তু বর্তমানে যথার চিকিৎসা ও ঔষধ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। যক্ষ্মা সম্পর্কে অনেক সামাজিক কুসংস্কার রয়েছে। অনেকে যক্ষ্মাকে বংশগত ও ছোঁয়াচে রোগ বলে মনে করেন। যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারের সাথে সম্পর্ক রাখতে চায় না। সচেতনতার অভাবই এর প্রধান কারণ।

সভাপতির বক্তব্যে এডভোকেট শমসের আলী বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত উন্নতির সত্ত্বেও বিভিন্ন কারণে যক্ষ্মা রোগী চিহ্নিতকরণ ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। যখন কোনো ব্যক্তি যক্ষ্মার লক্ষণ থাকা সত্ত্বেও সময়মত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ডাক্তারের পরামর্শের জন্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসেন না, তখন সেই ব্যক্তির (সম্ভাব্য যক্ষ্মা রোগী) কফ, হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে জীবাণু বের হয়ে বাতাসে মিশে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে অন্য ব্যক্তিকে প্রথমে সংক্রমিত ও পরে আক্রান্ত করে। যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে দেশের সকল জেলা উপজেলায় কাজ করে যাচ্ছে (নাটাব)।

নাটাব এর জেলা প্রতিনিধি কামরুজ্জামান এর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) দেশের ঐতিহ্যবাহী বৃহত্তম জাতীয় স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে নাটার ১৯৪৮ সাল থেকে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। নাটার যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার মাধ্যমে তাদের সুস্থ্য করে তোলার ক্ষেত্রে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছে।সামাজিক কুসংস্কার, অজ্ঞতা, অবহেলা, অর্থনৈতিক সংকট ও তথ্যের অভাবে যক্ষ্মা রোগীরা চিকিৎসা কেন্দ্রে সঠিক সময়ে যায় না, চিকিৎসা নিলেও নিয়মিত ঔষধ সেবন এবং পূর্ণ সময় ব্যাপি চিকিৎসা গ্রহণ করেন না।

এ ব্যাপারে সমাজের সচেতন ব্যক্তিদের আরও বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে। নাটার সরকারের যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীর অংশীদার হিসেবে ২০০৪ সাল থেকে GFATM এর আর্থিক সহযোগীতায় যক্ষ্মারোগীদের চিকিৎসা সম্পর্কে সচেতন করে তোলা এবং তাদেরকে চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসার জন্য সূশীল সমাজকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করে আসছে। এসব কর্মসূচীর মধ্যে এ্যাডভোকেসী সভা, বার্ষিক যক্ষ্মা সম্মেলন, র‍্যালী ও আলোচনার মাধ্যমে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস, ওয়ার্কশপ, রোগীদের সাথে ব্যক্তিগত যোগাযোগ অন্যতম।

যক্ষ্মা কি ?
যক্ষ্মা একটি জীবানুঘটিত মারাত্নক সংক্রামক রোগ, যা মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলোসিস নামক অতি সূক্ষ্ম জীবাণুর মাধ্যমে সংক্রমিত হয় । প্রধানত ফুসফুসই যক্ষ্মার জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়, এ রকমের যক্ষ্মাকে ফুসফুসের যক্ষ্মা বলে। যক্ষ্মার জীবাণু দেহের অন্য অংশকেও আক্রান্ত করতে পারে, এই ধরনের যক্ষ্মাকে ফুসফুস বহির্ভূত যক্ষ্মা বলে।

যক্ষ্মা কিভাবে ছড়ায়?
ফুসফুসের যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগীর কফ, হাঁচি, কাশি ও কথা বলার মাধ্যমে যক্ষ্মার জীবাণু পরিবেশে ছড়ায়। উক্ত জীবাণু বায়ুতে ভাসতে থাকে। ভাসমান জীবাণু সুস্থ মানুষের দেহে প্রবেশ করে যক্ষ্মা রোগের বিস্তার ঘটায়। বিশেষ করে ফুসফুসের যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগীর নিকটবর্তী ব্যক্তিবর্গের যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।

ফুসফুসে যক্ষ্মার লক্ষন সমূহঃ
★ ফুসফুসের যক্ষ্মার প্রধান লক্ষণ হল এক নাগাড়ে দুই সপ্তাহ বা তার অধিক সময় ধরে কাশি।

এ ছাড়াও নিচের লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে

★ বিকেলের দিকে অল্প জ্বর এবং রাতে শরীর ঘেমে জ্বর ছেড়ে যাওয়া।
★ খাবারে অরুচি।
★ ওজন কমে যাওয়া এবং শরীর দিনদিন দুর্বল হয়ে যাওয়া।
★ বুকে অথবা পিঠের উপরের অংশে ব্যথা, শ্বাস কষ্ট কখনো কখনো কাশির সাথে রক্ত যেতে পারে।
“ফুসফুস বহির্ভূত যক্ষ্মার লক্ষন সমূহ হাড়ের জোড়ায় ব্যথা হওয়া ও ফুলে যাওয়াঃ
■ গলায় বা শরীরের যে কোন জায়গায় গুটি হওয়া।
■ পিঠের হাড় বাঁকা হওয়া।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Archive Calendar

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
প্রকাশক কর্তৃক জেম প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন্স, ৩৭৪/৩ ঝাউতলা থেকে প্রকাশিত এবং মুদ্রিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Hi-Tech IT BD