মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৬নং আশিদ্রোন ইউপি মতিগঞ্জের আব্দুস শহীদ কলেজ হতে ভূজপুর প্রাইমারী স্কুল হয়ে ভূজপূর বাজার যাতায়াতের রাস্তাটির বেহাল অবস্থা গত ১বছর যাবত বিরাজ করছে।ফলে গ্রামবাসীদের চলাচলের ভোগান্তি দিন দিন বেড়েই চলছে।
এলাকাবাসী জানান,৬নং আশিদ্রোন ইউপির রাস্তাটি শুধু ভূজপূরবাজার যাতায়াতের রাস্তা নয়।আমাদের এরাস্তাটি সাতগাও হয়ে সিন্ধুর খান চলে গেছে শ্রীমঙ্গল।মতিগঞ্জ টু ভূজপুর ৩ কিলোমিটার এই সড়কের দুই পাশে বসবাস করেন ৩/৪ গ্রামের বাসিন্দা।রয়েছে ৪টি প্রাইমারী স্কুল,১টি মাদ্রসা ১এতিমখানা,১ টি কমিনিউটি ক্লিনিক সহ কয়েকটি মসজিদ।
নিত্যদিন হাজারো মানুষের যাতায়াতের পাশাপাশি অন্তিম যাত্রাও হয় এই রাস্তা ব্যবহার করেই।গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তার বেহালদশা থাকলেও এ রাস্তাটির কোন প্রকার উন্নয়ন হয়নি।ইউনিয়নের ২ নং ও ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদ মিয়া ও লিটন মিয়া দুই ওয়ার্ডের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করা হলে,এক জনও যোগাযোগে কোন সাড়া মেলেনি।বরং তাদের চরম রকমের উদাসীনতা দেখা যায় সরেজমিনে।
৬ নং আশিদ্রোন ইউপি চেয়ারম্যান জহর লাল বর্ধন এর সাথে যোগাযোগ করলে জানান,আমি কাজের জন্য ডিও লেটার পাঠিয়েছি এবং বৃষ্টির জন্য কাজ করানো যাবে না।তবে আগামী শীতে এর কাজ শুরু হবে বলে জানান।স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে, প্রাক্তন ইউপি সদস্য সহ সিএনজি চালক,যাত্রীদের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে এ রাস্তার বেহাল দশায় ক্ষতিগ্রস্ত সকলের।
সরেজমিনে গিয়ে ভোক্তভোগীরা বলেন,প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে অন্তত দেড় থেকে দুই হাজার লোক যাতায়াত করেন।একটু বৃষ্টি হলেই চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।বৃষ্টি হলে মৃত ব্যক্তির লাশ নিয়ে যাওয়া দূরহ হয়ে পড়ে,সাথে অসুস্থ রোগী বা গর্ভবতী কোন মাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর আগে ডেলিভাড়িও হয় রাস্তার ঝাঁকুনিতে।
এলাকাবাসীর প্রানের দাবি সম্মিলিতভাবে সড়কটির উন্নয়নের জন্য আবেদন জানান।সরেজমিনে গিয়ে এলাকায় কিছু যুবকের দেখা মিলে স্বেচ্ছা শ্রমে বড় বড় গর্ত স্থানে ইটের খোয়া দিয়ে ভড়াট করতে দেখা যায়।স্বেচ্ছা শ্রমে ছিলেন রয়েছ আহমেদ,জামাল মিয়া,হেলাল মিয়া,লিটন মিয়া,কামাল মিয়া এঁরা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা।
সকলের দূভোগের কথা মাথায় রেখে তারা এই স্বেচ্ছা শ্রমে এতটুকু হলেও কষ্টের ভাগ নিতে চান যুবকেরা জানান।আরো
জানান গত ১ বছরেও আমাদের এ রাস্তাটির কোন উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি।আর কতদিন অপেক্ষার পর আমাদের সড়ক বেহাল অবস্থা থেকে মুক্তি হবে জীবীত অবস্হায় দেখে যেতে পারবো কিনা একমাত্র আল্লাহই জানে।