মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল পৌরসভা নির্বাচনে হেভিওয়েট দুই প্রার্থী লড়াই করছেন।আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের চায়ের রাজধানী খ্যাত,অন্যতম পর্যটন নগরীর বহুল প্রতিক্ষিত দীর্ঘ ১০ বছর পর এই নির্বাচন।সর্বশেষ ২০১১ সালে পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।পরবর্তীতে সীমানা বর্ধিত করন জটিলতা ও আদালতের আদেশের ফলে নির্বাচনে বাঁধা আসে।
এ নির্বাচনে একদিকে অংশ নিচ্ছেন বর্তমান পৌর মেয়র ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সদস্য,ব্যবসায়ী শিল্পপতি মো. মহসীন মিয়া (মধু)।তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিবেন বলে জানা যায়।১৯৯৩ সাল থেকে তিনি এ পর্যন্ত তিন বার পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়ে আসছেন।তাঁর আমলে শুরু হয় পৌরসভা ‘খ’ শ্রেণী থেকে ‘ক’ শ্রেণীতে উন্নতি হয় এবং আধুনিক পৌরসভায় রুপান্তরিত করতে অনেক উন্নয়ন মূলক কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
অপরদিকে পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক ইমেজের ব্যাক্তি মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শ্রীমঙ্গল দ্বারিকাপাল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ মনসুরুল হক নির্বাচনী লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দীতা করছেন।ইতিমধ্যে তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের দলীয় প্রতিক (নৌকা) চুড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন।ইতিহাস বলে ১৯৩৫ সালে ১ লা অক্টোবর,১৯২৩ এর আসাম মিউনিসিপ্যাল এ্যাক্ট এর বিধানমূলে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার আত্নপ্রকাশ।
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল রূপসপুর ও সুনগইড় মৌজার সমন্বয়ে ২.৫৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে পৌরসভা গড়ে উঠে।বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীনের পর পৌরসভার শ্রেনী বিন্যাস করনে শ্রীমঙ্গল পৌরসভা গ শ্রেনীর পৌরসভায় রূপান্তর হয়।পরবর্তীতে ১ লা জুলাই ১৯৯৪ তে খ শ্রেনীতে এবং ৪ঠা ফেব্রুয়ারী ২০০২ এ ক শ্রেনীতে উন্নীত হয়।শ্রীমঙ্গল পৌরসভার মোট ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গড়া এবং ৯ টি ওয়ার্ডের নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত সর্বশেষ ভোটার তালিকায় দেখা যায় ২০ হাজার ৯৮ জন ভোটার রয়েছেন।