মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সীবাজার ইউপি প্রতিপক্ষের হামলায় ছাত্রলীগ নেতা গুরুতর আহত হয়েছেন।একই ইউপি বহিস্কৃত ছাত্রলীগ সহ সভাপতি নিজেদের মধ্যে ব্যক্তিগত বিরোধের জের ধরে ছাত্রলীগ নেতা সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন (২৫)কে কূপিয়ে আহত করেছে বহিস্কৃত সহ সভাপতি মোমিত হাসান ও তার সহযোগীরা।
আজ শনিবার(১৪ আগষ্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় কমলগঞ্জ সরকারী গণ মহাবিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে। দায়ের কোপে আহত ইউপি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন মুন্সীবাজার ইউপি বাসুদেবপুর গ্রামের আব্দুল গফুরের পুত্র।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কমলগঞ্জ সরকারী গণ মহাবিদ্যালয়ের সামনে উভয়পক্ষ কথা বলতে বলতে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক পযার্য়ে মুন্সীবাজার ইউপি ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি সুরানন্দপুর গ্রামের আলমাছ মিয়ার পুত্র মোহিত হাসান, বাদে করিমপুর গ্রামের আবাছ মিয়ার পুত্র জাকের আহমদ ও জালালপুর গ্রামের মতলিব মিয়ার পুত্র রুহেল মিয়া অতর্কিতভাবে দা দিয়ে ছাত্রলীগ নেতা জাকির হোসেনের মাথায় কোপ দেয়।
ঘটনা দেখে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারী মোহিত ও তার সহযোগীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী জাকির হোসেনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে করোনা রোগী বেশি থাকায় পুনরায় কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।কমলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাহাত ইমতিয়াজ রিপুল জানান, এটি কোন সাংগঠনিক বিরোধ নয়। একান্ত ব্যক্তিগত বিরোধ ছিল।
তারপরও এ ধরণের ঘটনা কেন ঘটবে তা খতিয়ে দেখা হবে। কমলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, এর আগে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে চলতি বছরের ১৮ মে হামলাকারী মোহিত হাসানকে মুন্সীবাজার ইউপি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে থানায় কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ আসলে অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশ্বাস দেন।