মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে আব্দুস সালাম নামে এক পুলিশ সদস্য প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন এক তরুণী।সালাম কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর ইউপি’র জাঙ্গালীয়া গ্রামের তেরাব আলীর ছেলে।সে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরী করে ও শুক্রবার গোপনে বিয়ে করতে যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ও অনশনরত নারীর সাথে কথা বলে জানা যায়,বৃহস্পতিবার (৪নভেম্বর) সকাল ১১টা থেকে পুলিশ সদস্য আব্দুস সালামের বাড়িতে অনশন শুরু করেন ঐ তরুণী।অনশনে বসা ওই তরুণী আব্দুস সালামের চাচাতো ভাই শাহ আলমের সাবেক স্ত্রী।তার চাচাতো ভাইয়ের সাথে বিয়ের পর থেকে সে তাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে দেয়।
একপর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় ভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তি হলেও সালাম ওই নারীকে বিয়ে করতে চায়নি।পরে ওই তরুণী আব্দুস সালামের বিষয়ে তার তৎকালীন কর্মস্থল নবীগঞ্জ থানা পুলিশকে অবগত করে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
বর্তমানে অভিযোগটি তদন্তাধীন অবস্থায় রয়েছে।এরই মধ্যে গোপনে বৃহস্পতিবার(৪নভেম্বর) উপজেলার ইসলামপুর এলাকায় বিয়ে ঠিক করেন সালামের পরিবার।বিয়ের খবর পেয়ে নিজের অধিকার আদায়ে বিয়ের দাবিতে সকাল থেকে পুলিশ সদস্য আব্দুস সালামের বাড়িতে অনশন শুরু করেন তার প্রেমিকা।
সরেজমিনে গেলে অনশনে থাকা তরুণী নাসিমা আক্তার বলেন, আব্দুস সালামের সাথে তার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল।সে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাকে নিয়ে বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে গিয়ে রাত কাটিয়েছে।আমার আগের স্বামীকেও তার কথায় তালাক দিয়েছি।এখন গোপনে বিয়ে করতে দিন তারিখও ঠিক করেছে।আমি আমার অধিকারের জন্যই তার বাড়িতে এসেছি।
তিনি অভিযোগ করে আরও জানান,বাড়িতে প্রবেশের পর তাকে সালামসহ তার ভাবিদ্বয় মিলে মারধর করেছেন।তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে সালামের বাবা ও দুই ভাবি জানান,সালাম এই মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি নন।তাই তারা অন্যত্র বিয়ে ঠিক করেছেন।কিন্তু সকালে মেয়েটি হঠাৎ করে এসে গালমন্ধ শুরু করে বাড়ির সামনে বসে আছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য তাজউদ্দিন তার বক্তব্যে জানান,বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে ইউপি পরিষদে চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে শালিস বৈঠক হয়।কিন্তু সালাম এ বৈঠকের রায় মানেনি।এখন আর আমাদের কিছুই করার নেই।কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান জানান,বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।পুলিশ তার তদন্ত করছে ।