চাঁদপুর সদর উপজেলার হানারচর ও চান্দ্রা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় মেঘনা নদীতে রাতের বেলা এবং ভোরে প্রকাশ্যে অবাধে ধরা হচ্ছে চিংড়ি মাছে রেনু পোনা। জাটকা রক্ষার অভিযানে ব্যস্ত থাকায় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চিংড়ি রেনু ধরে খুলনা ও সাতক্ষিরা জেলায় পাচার করা হচ্ছে।
রবিবার (১৬ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে ওই এলাকার মেঘনা নদী উপকূলীয় বাখরপুর গুচ্ছ গ্রামে গিয়ে দেখাগেছে সাতক্ষীরা জেলা থেকে আসা চিংড়ি রেনু ধরার কাজে নিয়োজিত প্রায় অর্ধশতাধিক জেলে। তারা দুই মাসের জন্য এই গুচ্ছগ্রামে এসে কয়েকভাবে সরকারি ঘরে আশ্রয় নিয়েছে। আবার কয়েকটি গ্রুপ খোলা আকাশের নীচে তাবুর মতো করে থাকছে।
চিংড়ি রেনু পোনা ধরে এনে আশ্রয় কেন্দ্রের পুকুরে জমা করে রাখছে ড্রাম ও জালের মধ্যে। তাদের এই কাজে সহযোগিতা করছে আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা তাজুল ইসলাম ও স্থানীয় বাসিন্দা শাহ আলম সহ বেশ কয়েকজন। অভিযোগ রয়েছে, শাহ আলম ও তাজুল ইসলামসহ কয়েকজন টাকার বিনিময়ে তাদেরকে এখানে আশ্রয় দিয়েছেন।
এই বিষয়ে তাজুল ইসলাম ও শাহ আলম জানান, আমরা আশ্রয় না দিলেও তারা কোন না কোনভাবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে মিল করে চিংড়ির রেনু পোনা ধরবে। আমরা তাদের কাছ থেকে কোন আর্থিক সুবিধা নেই না। যারা বলছে এটা মিথ্যা কথা।
চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুর ইসলাম বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় যে কোন মাছ ধরাই সম্পূর্ণ নিষেধ। যারা চিংড়ি রেনুপোনা ধরছে তাদের বিরুদ্ধে খুব শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই বিষয়ে কথা বলার জন্য চাঁদপুর নৌ থানার ওসি মো. কামরুজ্জামানকে একাধিকবার ফোন করা হয়। তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি।