বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর থেকে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার সাধারণ মানুষের মধ্যে টিকা নেয়ার আগ্রহ বেড়েছে। একসময় টিকায় মানুষের আগ্রহ না থাকলেও চলমান ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট এর ভয়াবহতা দেখে টিকায় ঝুঁকছে সাধারন মানুষ।
মঙ্গলবার করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নিতে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্ধারিত স্থান নূরুন্নাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দেখা যায় টিকা গ্রহীতাদের উপচেপড়া ভিড়।সরেজমিনে দেখা যায়, এশটি বালিকা বিদ্যালয়কে অস্থায়ী কেন্দ্র বানিয়ে ৪টি বুথে টিকা প্রদান করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারপরেও দীর্ঘ লাইন তৈরি হচ্ছে টিকা কেন্দ্রে। সাধারণ মানুষের উপস্থিতি বেশি হওয়ায় টিকা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। টিকা কেন্দ্রে সহযোগিতার জন্য উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্যরা সেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুশৃংখল ভাবে টিকা দান কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
টিকা নিতে আসা অজিত কুমার বলেন, সুশৃঙ্খল ভাবে সুন্দর পরিবেশে টিকা নিতে পেরেছি। কোন অসুবিধা হয় নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনায় টিকা কার্যক্রম পরিচালিত করছে।উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম তুহিন বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন (এফসিএ) মহোদয়ের নির্দেশনায় আমরা উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মীরা টিকা কেন্দ্রে এবং করোনার নমুনা পরীক্ষা কেন্দ্রে সেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। যাতে মানুষ সুশৃঙ্খল ভাবে টিকা গ্রহন ও নমুনা পরীক্ষা করাতে পারে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নাজমুল আলম বলেন, টিকা গ্রহনে সাধারন মানুষের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। আজ একদিনে প্রায় ১৬শ মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত মুরাদনগরে টিকার ১ম ডোজ দেয়া হয়েছে ২৭হাজার ৩৮জনকে, ২য় ডোজ দেয়া হয়েছে ১২হাজার ৫৮জনকে।